আপনজন ডেস্ক: ফিরহাদ হাকিমের হাতেই ফের কলকাতা পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করায় তিনি সেই গুরুদায়িত্ব নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করলেন মঙ্গলবার।
কলকাতার মেয়র হিসাবে শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মেয়র হিসাবে শপথ নিলেন ফিরহাদ। পুরসভার ভিতরেই মঞ্চ তৈরি করে এই শপথপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে শপথ নিয়েছেন মালা রায়। একইসঙ্গে শপথ নিয়েছেন মেয়র পারিষদ ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলররাও। শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রোটেম চেয়ারম্যান রাম পিয়ারি রাম। শপথ নেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম কলকাতাকে বিশ্বের সেরা শহর করার অঙ্গীকার করেন। সেই সঙ্গে কলকাতা শহরের উন্নয়নে নতুন কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। বিশেষ করে জনপরিষেবা নিয়ে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ আস্থাভাজন বলে পরিচিত ফিরহাদ হাকিমকেই মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফিরহাদ হাকিমের উপরই মমতার আস্থা অটুট থাকায় দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি হলেন ফের মেয়র। যদিও এবারের পুরসভার নির্বাচনে কাউকেই তৃণমূল মেয়র প্রোজেক্ট করে ভোটে লড়েনি। যদিও আভাস ছিল ফিরহাদই ফের মেয়র হবেন। কিন্তু বিজেপি পুরসভার নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করে ফিরহাদকে নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকে। তাই তৃণমূল নির্বাচনী প্রচারে সেই সুযোগ দিতে চায়নি।
এদিন ডেপুটি মেয়র পদে শপথ নিয়েছেন অতীন ঘোষ। এছাড়াও মেয়র পারিষদ পদে এদিন শপথ নিয়েছেন দেবাশিস কুমার, তারক সিংহ, দেবব্রত মজুমদার, স্বপন সমাদ্দার, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সি, আমিরুদ্দিন ববি, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন সাহা, জীবন সাহা ও রাম পিয়ারি রাম। তবে, মেয়র পদে শপথ নেওয়ার পর কলকাতার প্রতি তার দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে পরিষেবার দিকেই বেশি নজর দেওয়ার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারের সশয় বলেছিলেন, কাউন্সিলারদের বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। নিজের পাড়ার সমস্যা নিজেদেরকেই সমাধান করতে জবে। আর ছ মাস অন্তর দিতে হবে রিপোর্ট কার্ড। মূলত সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার ইঙ্গিত দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বললেন, মেয়র, মেয়র পারিষদ বা কাউন্সিলর হলেই চলবে না, ‘যখন ডাকি তখন পাই,’ এমনটাই হতে হবে।
ফিরহাদ হাকিম প্রতি শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠান করে বিশেষ সাড়া জাগিয়েছেন। এবার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও একটি নতুন অনুষ্ঠান ‘শো ইওর মেয়র’। হোয়াটসঅ্যাপে মানুষ তাঁদের সমস্যা জানাবেন। স্ক্রিনের মাধ্যমে মেয়র তা দেখবেন। কারও বাড়ির সামনে নোংরা, জল জমা বা অন্য যা সমস্যা তা নিজের চোখে দেখবেন মেয়র। সিমস্যার সমাধানে কতটা কাজ এগোল তার ছবি তুলে পুরবাসীর কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হবেম আগে কি ছিল আর এখন কি হয়েছে। এছড়া ৬ মাস অন্তর রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে কলকাতা পুরসভা। রিভিউ মিটিং করে রিপোর্ট কার্ড পেশ করা হবে। শহরের জমা জল সরাতে আরও পাম্পিং স্টেশনে জোর দেওয়া ছাড়াও পুরনোর বাড়ির জন্য নতুন আইন আনা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct