নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: বাড়ির সামনে রাস্তায় আটকে লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে চার যুবককে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা তথা একই পরিবারের ছয়জন সদস্য রেজাউল হক (৪৫),সেখ বুধুয়া(৬৫),নাজির হুসেন(২২),নাজলি বিবি (৪২),কাজলি বিবি(৩০) ও রবিউল হকের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হয়েছেন বাগামারা গ্রামের দুই বাসিন্দা অজিত আলি(২৫) ও ইরফান আলি(২১) এবং দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু আলি(২৬) ও রাড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা রৈশুদ্দিন(৩০)।অজিত আলি ও মিন্টু আলি এখন হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উভয় পক্ষ হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা যায় শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন ছিল বাগমারা গ্রামে উরুষের মেলা। শনিবার রাতে কাওয়ালি চলাকালীন ইরফান আলি মোবাইলে লাইভ ভিডিও করছিল। উরুষ কমিটি এক সদস্য নাজির হুসেন তাকে লাইভ ভিডিও করতে বারণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। উরুষ কমিটি সেই রাতে বিবাদ মিটিয়ে দিলেও রবিবার নাজির হুসেন তার পরিবারের আরো পাঁচজন সদস্য ইরফান আলি ও তার তিন আত্মীয়কে বাড়ির সামনে রাস্তায় আটক করে প্রচন্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। হাতাহাতিতে উভয় পক্ষ জখম হয়েছে বলে খবর। অভিযোগকারী রবেসা বিবি বলেন, ‘রবিবার সকাল এগারোটার সময় আমার তিন জামাই জামাই অজিত আলি,মিন্টু আলি ও রৈশুদ্দিন এবং ভাতিজা ইরফান আলি বাগমারা উরুষের মেলা থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলো, ওই সময় বিবাদীরা পূর্বের আক্রোশ বসত পরিকল্পনা মাফিক বাড়ির সামনে রাস্তায় আটকে তাদেরকে লোহার বড় ও কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে।রৈশুদ্দিনের কাছ থেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মিন্টু আলির কাছ থেকে একটি বড়ো মোবাইল জোর করে ছিনিয়ে নেয় তারা। বর্তমানে দুই জামাই অজিত আলি ও মিন্টু আলি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি আছে। অভিযুক্ত নাজির হুসেন জানান, ইরফান আলি লাইভ ভিডিও করার সময় মেলায় ঘুরতে আসা মেয়েদের ছবি তুলছিল। বাধা দিতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার উপর চড়াও হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।রবিবার সকালে তাদেরকে মারধর করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ থানায় জানিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান উভয় পক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct