আপনজন ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরে হরিয়ানার গুরুগ্রামে জুম্মাবারের নামাজ স্থলে হানা দিয়ে ভন্ডুল করে আসছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। এবার তাদের নিশানা থেকে রেহাই পেল না ক্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনও। বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিচালিত একটি বেসরকারি স্কুলে খ্রিস্টানরা যখন খ্রিস্টানদের শ্রেষ্ঠ উৎসব বড়দিনে মেতে উঠেছিল তখন একদল লোক স্কুলে প্রবেশ করে এবং ক্রিসমাস কার্নিভাল বরবাদ করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের পতৌদি শহরের নারহেরা গ্রামে। এই ঘটনার এক ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যক্তি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলছে, এখানে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণযোগ্য নয়। যিশুখ্রিস্টকে অসম্মান করছি না কিন্তু আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলতে চাই যে তারা চাইলে তাকে আইনগতভাবে স্মরণ করুক। কিন্তু ধর্মান্তরণের মধ্যে যেন জড়িযে না পড়ে। কারণ তা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে পারে।
জানা গেছে, হাউস হোপ গুরুগ্রাম নামে একটি দল ক্রিসমাস কার্নিভালের আয়োজন করেছিল। যিশু খ্রিস্টকে নিয়ে প্রশংসাসূচক গান পরিবেশনের সময় স্থানীয় লোক সেখানে ঢুকে শিক্ষার্থীদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তর করার অভিযোগ তুলে বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তা বরবাদ করে দেয়। বন্ধ করে দেয় প্রার্থনাও। স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে ডেকে পাঠায়। ‘আইন তার নিজস্ব পথ নেবে’ থেকে এটি ‘পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পায়নি’ পর্যন্ত নেমে এসেছে। স্থানীয় এক যাজক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, এটা আমাদের প্রার্থনা করার ও ধর্ম অনুসরণ করার অধিকারের লঙ্ঘন। গির্জায় মহিলা ও শিশুরা থাকায় তারা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। প্রতি দিন উপদ্রব বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে পতৌদি কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নির্দল প্রার্থী নরেন্দ্র সিং পাহাড়ি বলেন, কার্নিভালের কথা শুনে ওই স্কুলে যান। কার্নিভালের ছদ্মবেশে মানুষকে ধর্মান্তরিত করার প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল। যিশু খ্রিস্টের প্রশংসা করে গান প্রতিক্রিয়া দেখায় তার সমর্থকরা। তবে, পতৌদি থানার অফিসার অমিত কুমার জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তাই কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct