আপনজন ডেস্ক: অসমের নগাঁও জেলার জুরিয়া শহরের বাসিন্দা তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমটেক ডিগ্রিধারী নাজনিন ইয়াসমিন এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ৩০ ডিসেম্বরের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ইসরোর সদর দপ্তরে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে তার নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন।
ইয়াসমিন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এনআইটিএস মির্জা কলেজ থেকে ইলেকট্রনিক্সে তার বিটেক সম্পন্ন করেন এবং ২০১৬ সালে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে এমটেক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইসরোর জুনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে নাজনিন জানান, মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার গল্প দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমি দেখতে চেয়েছিলাম কিভাবে রকেটটি আমার শৈশব থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং এটি আমাকে চালিয়ে নিয়ে যায়। একটি ছোট শহর থেকে আসা ইয়াসমিন তার এক বিজ্ঞানী বন্ধু এবং ইন্টারনেটের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ইসরোতে প্রবেশ করেন।
তিনি আরও বলেন, এমটেক শেষ করার পর আমি আমার এক বিজ্ঞানী বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে গুগলে অনুসন্ধান করেছি কিভাবে রকেট বিজ্ঞানী হতে হয়।
ইয়াসমিন ২০১৯ সালে ইসরোতে নির্বাচনের জন্য একটি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং এবছরের ১১ আগস্ট শিলং-এর নর্থ ইস্ট স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে নাজনিন বলেন, প্যানেল আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন আমি ইসরোতে যোগ দিতে চাই। আমি বলেছিলাম আমি একটি রকেট উড়তে চাই। স্কুলের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জিলা বেগমের মেয়ে ইয়াসমিন নগাঁওয়ের জুরিয়া থেকে কদমন টাউন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল শেষ করেন। ইয়াসমিন, যিনি ভারত সরকারের জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপও পেয়েছিলেন ৩০ ডিসেম্বরের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ইসরোর সদর দপ্তরে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে তার নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct