অমরজিৎ সিংহ রায়,বালুরঘাট,আপনজন: বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি-দাবা নিয়ে আবার সরব গ্রামীণ ট্যাক্স কালেক্টররা। এবার নিজেদের দাবি-দাওয়া পোস্টকার্ডে লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রী কে পাঠালেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ ট্যাক্স কালেক্টররা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে প্রায় এক’শ এর বেশি গ্রামীণ টেক্স কলেক্টর রয়েছেন।টেক্স কলেক্টর দের অভিযোগ,
তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি দাবা এখনো সেভাবে পূরণ হয়নি। তাই এবার পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গ্রামীণ টেক্স কলেক্টর এরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠালেন। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটে অবস্থিত বালুরঘাট প্রধান পোস্ট অফিসে সকল গ্রামীণ টেক্স কলেক্টর এরা পোস্টকার্ডের মাধ্যমে লিখিত আকারে তাঁদের দাবি-দাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবিদাবা পূরণ করবেন এই প্রত্যাশায় রয়েছেন তাঁরা।
এবিষয়ে গ্রামীণ টেক্স কলেক্টর বৈদ্যনাথ সেন জানান, ‘আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ট্যাক্স কালেক্টর। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ট্যাক্স কলেকশন এর কাজ করি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই কাজ করে আসছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের দেয় ৬০০ টাকা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত দেয় দেড়শ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭৫০ টাকা আমরা ভাতা পাই। কিন্তু আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর এর বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে টেক্স কালেকশন করে তা পঞ্চায়েতে জমা করি। সেখান থেকে আমরা কমিশন পাই প্রথম ৬০০০ এর জন্য ১০ শতাংশ। তারপরে ২০০০ এর জন্য ১৫ শতাংশ এবং তার ওপরে যদি আমরা ট্যাক্স কালেকশন করি তাহলে তখন আমরা ২৯ শতাংশ কমিশন পাই। যৎসামান্য কমিশন ও ভাতা মিলিয়ে আমাদের মাসিক আয় খুব বেশি হলে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই দুর্মূল্যের বাজারে এই অর্থে আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমরা এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে বহুবার চিঠি দিয়েছি। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কাছে আমার লিখিতভাবে জানিয়েছি। অন্যান্য দপ্তরেও আমরা জানিয়েছি। এবং পঞ্চায়েতের ডাইরেক্টরের কাছেও আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোনভাবে আমাদের এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই আমরা সকলে মিলে উদ্যোগ নিয়েছি যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আমাদের দাবিদাওয়াগুলো পোস্টকার্ডের লিখে এই পোস্টকার্ড একটা করে আমরা তাঁর কাছে পাঠাব।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct