আপনজন ডেস্ক: দেশ থেকে এখনও জাতপাতের বৈষম্য দূর করা যাচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডে এক দলিত মহিলার রান্না করা মিড ডে মিলের খাবার খেতে অস্বীকার করল ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর উচ্চবর্ণের শিক্ষার্থীরা। এই জাতিগত বৈষম্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলার সুখিধাং এলাকার জাউল গ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাচিকা হিসাবে নিযুক্ত হন সুনিতা দেবী। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। তাকে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
স্কুলের অধ্যক্ষ প্রেম সিং জানান, সুনিতার যোগদানের প্রথম দিনেই উচ্চবর্ণের ছাত্ররা খাবার খেয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দিন থেকেই তারা খাবার বর্জন শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা কেন এমন করছে তা বোধগম্য নয়। মোট ৫৭ জন ছাত্রের মধ্যে, মাত্র ১৬ জন তফসিলি জাতিভুক্ত শিশু তাদের খাবার খেয়েছিল।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, সুনিতা দেবিকে সব সরকারি নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা পাচিকা পদের জন্য ১১টি আবেদন পেয়েছিলাম। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত অভিভাবক শিক্ষক সমিতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উন্মুক্ত সভায় তাকে নির্বাচিত করা হয়।
জানা গেছে, সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ও তাদের পুষ্টিকর খাবার দিতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুখিধাং উচ্চ বিদ্যালয়ে বাবুর্চির দুটি পদ রয়েছে। শকুন্তলা দেবীর অবসর গ্রহণের পর সুনিতা দেবীকে নিয়োগ করা হয়। খাবার বর্জন করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চবর্ণ থেকে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন না করার অভিযোগ তুলেছেন । তিনি বলেছেন যে উচ্চবর্ণের যোগ্য প্রার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন করা হয়নি। স্কুলের অভিভাবক-শিক্ষক সমিতির সভাপতি নরেন্দ্র যোশি বলেন, উচ্চ বর্ণের ছাত্রদের সংখ্যা তফসিলি বর্ণের ছাত্রদের চেয়ে বেশি। তাই উচ্চবর্ণের একজন মহিলাকে পাচিকা হিসাবে নিয়োগ করা উচিত। এ নিয়ে অধ্যক্ষ সিং বলেন, যে তিনি পাচিকা নিয়োগ এবং পরবর্তী বয়কটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। কিছু অভিভাবক অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct