মোল্লা জসিমউদ্দিন,মঙ্গলকোট,আপনজন: ৭ নং রাজ্য সড়কপথের পড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট। এই সড়কপথে প্রতি বছর গড়ে দশের বেশি ব্যক্তি মঙ্গলকোট ও ভাতার এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মারা যান।পথ দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের চোখের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।যথাযথ স্থানে অভিজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের সন্ধান পায়না গাড়ি চালকরা।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রবিবার সারাদিন ব্যাপি ৭ নং রাজ্য সড়কপথে থাকা মঙ্গলকোট থানার সামনে বসলো বিশেষ চক্ষু পরীক্ষা শিবির। গলসির লাইন্স ক্লাবের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সহ স্থানীয় মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা গাড়িচালক সহ স্থানীয়দের নিয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির চালালেন। দুশোর কাছাকাছি ব্যক্তি এই শিবিরে যোগদান করে থাকেন। রাজ্য পুলিশের পথ নিরাপত্তা কর্মসূচির এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট আইসি পিন্টু মুখার্জি, মঙ্গলকোট বিএমওএইচ ডক্টর জুলফিকার আলি, মঙ্গলকোট উপপ্রধান চন্দন সরকার প্রমুখ।
দক্ষিণবঙ্গের ব্যস্ততম সড়করুট হিসাবে পড়ছে ৭ নং রাজ্য সড়ক।কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গগামী প্রায় গাড়ি এই রুটের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। প্রতি বছর গড়ে দশের বেশি ব্যক্তি মঙ্গলকোট ও ভাতার এলাকায় পথ দুর্ঘটনার শিকার হন।অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের চোখের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।এদের অনেকেই সময়ের অভাবে অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারেনা।রবিবার মঙ্গলকোট থানার পরিচালনায় আটজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুরা দুশোর কাছাকাছি গাড়ি চালক সহ এলাকাবাসীদের চক্ষু পরীক্ষা চালান।চোখের ‘পাওয়ার’ দেখে বিভিন্ন ঔষধপত্র দেন বিনামূল্যে। এতে খুশি এই শিবিরে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক জানান - “ পথ নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পড়ে এই চক্ষু পরীক্ষা শিবির। আমরা সারা বছরই পথ দুর্ঘটনা রোধে নানান প্রচার কর্মসূচি পালন করে থাকি”। এদিন মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাইপাস থেকে থানা অবধি এক র্যালি বের করা হয় স্থানীয় থানার পুলিশের উদ্যোগে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct