আপনজন ডেস্ক: গোয়া থেকে কলকাতায় ফিরেই কলকাতা পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের লাগাম জোরদার করতে লেগে পড়েলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। তার আগে বুধবার কলকাতার ফুলবাগানের নির্বাচনী সভায় একদিকে পুরসভায় সব আবেদন পদ্ধতি অনলাইনে করার ঘোষণা দিলেন। অন্যদিকে, প্রাধান্য দিলেন কাউন্সিলরদের জনগণের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানকে।
তৃণমূল সুপ্রিমো দলের কাউন্সিলরদের প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে বললেন, কাজই হবে কাউন্সিলরদের বিচারের একমাত্র মানদণ্ড। কাজ করতেই হবে, না হলে সরে যেতে হবে জনপ্রতিনিধি পদ থেকে। বাংলাকে যেমন উন্নয়নের মোড়কে নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী তেমনি কলকাতা শহরেও হাতিয়ার করতে চান উন্নয়নকে। লক্ষ্য বিরোধী দলগুলিকে একেবারে ধরাশায়ী করা। তাই এবার পরিচ্ছন্ন পুর পরিষেবার দেওয়ার লক্ষ্যে কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মমতা বললেন, কাউন্সিলরের যা কাজ সেটাই করতে হবে। এলাকার মানুষ জল, আলো সহ পুরপরিষেবা যাতে পান তা যথাযথ পাচ্ছেন কিনা সেটা কাউন্সিলরকেই দেখতে হবে। যিনি পারবেন না, তাকে কাউন্সিলরের পদ থেকে সরে যেতে হবে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ওয়ার্ডে পুরপরিষেবার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি একদিন যাচ্ছি, কয়েক জন গাড়ি আটকে বলল পাইপে জল নেই। আমি কাউন্সিলরকে জানালান, জিজ্ঞাসা করলাম কেন হয়নি। তাই এবার আর তাকে পুরসভা নির্বাচনে টিকিট দেইনি।’ তাই মমতার সতর্ক বাণী, কাজ না করলে পরের ভোটে আর টিকিট মিলবে না।
অন্যদিকে শহরের পুর পরিষেবা পেতে গিয়ে মানুসকে যাতে হয়রানির শিকার না পেতে হয়। কিংবা দুর্নীতির জালে না পড়তে হয় তার জন্য পুরসভায় পুর পরিষেবার জন্য সব আবেদন এবার অনলাইনে হবে। এ নিয়ে মুুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দিনে আমি চাই, ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য আপনার যা চাই অনলাইনে চাইবেন। সাত দিনের মধ্যে অনুমতি পাবেন। আগামীতে কমিউনিটি হলের বুকিংও অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে গরিব বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করে বড় অট্টালিকা বা আবাসন নির্মাণ রোখার ক্ষেত্রে বলেন, এক্ষেত্রে পুরসভার আইন মোতাবেক দেখভাল করবেন কাউন্সিলররা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct