আপনজন ডেস্ক: ভারতের ক্রিকেটে মহলেচলছে রদবদলের পালা। রবি শাস্ত্রী যুগ শেষে নতুন প্রধান কোচ হয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির জায়গায় নেতৃত্বে এসেছেন রোহিত শর্মা। শাস্ত্রী-কোহলি যুগে ভারত কোনো আইসিসি শিরোপা জিততে পারেনি। এটাই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া ভারত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি। এবার দলের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। শাস্ত্রী দাবি করেছেন, ওই বিশ্বকাপে দল সাজানোয় তার মতামতই নেওয়া হয়নি! বিসিসিআইয়ের কিছু কর্মকর্তা নাকি চেয়েছেন, শাস্ত্রী যাতে ভারতের কোচ থাকতে না পারেন। সেই আসরে ভারতের দলে ছিলেন তিন উইকেটকিপার- মহেন্দ্র সিং ধোনি, ঋষভ পন্ত তো আর দীনেশ কার্তিক। শাস্ত্রী চেয়েছিলেন, তিন কিপারের বদলে আম্বাতি রাইডু কিংবা শ্রেয়াস আইয়ারের মধ্যে থেকে একজনকে নিতে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘ওই সময়ে (২০১৯ বিশ্বকাপ) আমার কোনো মতামতই নেওয়া হয়নি! তবে বিশ্বকাপের জন্য তিন উইকেটকিপার নিয়ে যাওয়া আমি মেনে নিতেই পারিনি। এর বদলে আম্বাতি কিংবা শ্রেয়াসের কেউ একজন দলে ঢুকতে পারত। এম এস ধোনি, ঋষভ আর দীনেশের তিনজনকেই একসঙ্গে দলে নেওয়ার কী যুক্তি থাকতে পারে? তবে শুধু যখন আমার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল কিংবা সাধারণ আলোচনা হতো, সেটা ছাড়া আমি কখনো নির্বাচকদের কাজে নাক গলাইনি।’ এখানেই না থেমে শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ভরত অরুণকে বোলিং কোচ চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা দেয়নি। এখন যখন দেখি সেই সিদ্ধান্তটা কীভাবে কাজে এসেছে। যে লোকটাকে তারা বোলিং কোচ হিসেবে নিতেই চায়নি, তিনিই এই দেশটির ইতিহাসের সেরা বোলিং কোচ হয়ে গেছেন। আমি নির্দিষ্ট কয়েকজনের কথা বলছি। আমি যাতে কোচের চাকরিটা না পাই, সেটা নিশ্চিত করতে অনেকেই খুব চেষ্টা করেছিলেন। অবশ্য এটাই জীবন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct