সন্ন্যাসী কাউরী,ডেবরা,আপনজন: মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে নিজের বিধানসভা এলাকায় নয়া উদ্যোগ নিল ডেবরার বিধায়ক। আপনার অভিযোগ, আপনার সমস্যার কথা এবার সরাসরি জানান আমাকে। সৌজন্যে মন্ত্রী হুমায়ূন কবীর। ডেবরাবাসীকে এভাবেই এলাকার সমস্যা, অভিযোগ জানানোর বার্তা দিলেন ডেবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ড. হুমায়ূন কবীর। মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর মতো তিনি এলাকার মানুষের জন্য চালু করলেন - ‘হ্যালো এমএলএ’। এলাকার মানুষ ৯০৬৪১২৮৬১০ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন তাদের অভিযোগ ও সমস্যার কথা। কয়েকদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তারই প্রচার।
সাহসী প্রাক্তন আই পি এস হুমায়ূন কবীর বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডেবরা এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে গোটা বিধানসভার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
হুমায়ুন কবীরের তৎপরতায় চালু হয়েছে ১২ বছর নির্মিত হয়ে থাকা লোয়াদা সেতু। কাজে গতি এসেছে ধীর গতিতে চলা বালিচক উড়ালপুলের। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ট্যাবাগেড়া মাড়তলা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার। মন্ত্রী হওয়ার পর বালিচক- ডেবরা পৌরসভা গঠন, বালিচক ও ডেবরাতে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড তৈরি এবং ডেবরায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্ৰহণ করেছেন তিনি। জোর দিয়েছেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ওপর।
ডেবরা বিধানসভা এলাকাটি বেশ বড়ো। রয়েছে ১৪ গ্ৰাম পঞ্চায়েত । সমস্যাও রয়েছে অনেক। নিকাশি ব্যবস্থা, বন্যা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুত, পানীয় জল, সামাজিক পরিষেবার ঘাটতি ইত্যাদি । সেগুলো সাধারণ মানুষ যাতে অকপটে বিধায়কে বলতে পারে, সেই জন্য বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ূন কবীর ‘ হ্যালো এম এল এ’ কর্মসূচি গ্ৰহণ করেছেন । ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ফোন করে নানান সমস্যার কথা জানাচ্ছেন । এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিশিষ্ট সমাজসেবী সীতেশ ধাড়া বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পর এই প্রথম ডেবরা থেকে কোনো বিধায়ক রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী। এই আবেগ থেকে ডেবরার ভূমিপুত্র হুমায়ূন কবীর ডেবরার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডেবরাকে নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা ভাবনা, মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে সেগুলো সমাধান করার যে প্রয়াস তা সত্যি অভিনন্দনযোগ্য । এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের অনেক সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
গোলগ্ৰাম গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক গাঙ্গুলি বলেন, বিধায়কের এই উদ্যোগে কাজে অনেকটাই গতি আসবে । এই উদ্যোগের ফলে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ অনায়াসে সরাসরি তাঁর সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। সেই সমস্যা গুলি সমাধান করার জন্য তিনি প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ পাঠাবেন। সেই নির্দেশ মতো সব দিক খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত গুলো সমাধান করার চেষ্টা করবে। এর ফলে একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষও যে উপকৃত হবেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
হ্যালো এম এল এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কতটা উপকৃত হবেন এলাকার সাধারণ মানুষ, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct