জৈদুল সেখ,কান্দি,আপনজন: পড়ুয়াদের স্কুলে হাজিরা বাড়াতে বৃহস্পতিবার জীবন্তির উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলের দশজন শিক্ষক শিক্ষিকা ট্যাবলোই মাইকিং করে গ্রামের উদ্দেশ্যে পড়ুয়াদের দুয়ারে পৌঁছালেন শিক্ষকেরা। গ্রামে ঘুরতে ও ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি চিনিয়ে দিতে সাহায্য করলো কিছু বর্তমান ও কিছু প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী। এলাকার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকেরা স্কুলে উপস্থিত হওয়ার জন্য সচেতন করেন। শিক্ষকদের আগ্রহ দেখে অভিভাবক গণ খুব আপ্লুত। শিক্ষকরাও তাদের ব্যবহার ও আপ্যায়নে খুব খুশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তন্মধ্যে কিছু অভিভাবক জানান ধান ওঠার সময় তাই ছেলে মেয়েরা চাষ ও খামারের কাজে কিছুটা সাহায্য করে তবুও সামনে দিন থেকে পড়ুয়াদের স্কুল পাঠানোর কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় দু-বছর বন্ধ থাকার পর চারটি শ্রেণির জন্য স্কুল খুলেছে। কিন্ত শুরু থেকেই জেলার বেশ কিছু স্কুলে উপস্থিতির হার খুব কম। স্কুল খোলার মাস খানেকের পরও পড়ুয়াদের গরহাজিরা নিয়ে চিন্তা কাটেনি শিক্ষকদেরও। সেই তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদের জীবন্তি উদয়চাঁদ হাইস্কুল সহ একাধিক স্কুল। ১৬ তারিখে স্কুল খোলার পর গত সপ্তাহ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। সোম বুধ ও শুক্রবার আসবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা এবং মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার আসবে নবম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা। ফলস্বরূপ হাজিরা আরো অর্ধেক হয়ে গেল। তাই স্কুলছুটদের ফেরাতে শিক্ষকেরা হাজির হলেন শিক্ষার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে। এই প্রচারের পর আগামীদিন থেকে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচদিন স্কুলে পঠন পাঠনপাঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, অন্যান্য স্কুলের তুলনায় আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংখ্যা ভালো, বিশেষ করে ছাত্রীদের বেশি আগ্রহ। তবে আমাদের একটাই দাবী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হোক। না হলে সিলেবাস শেষ করা যাবেনা এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে না। তাছাড়া মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করার ব্যাপার রয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার ফলস্বরূপ উপস্থিতি সংখ্যা ৫৬ শতাংশের বেশি।মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত স্কুল কলেজ খুলে গেছে বিদ্যালয় মুখী হয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে অধিকাংশ স্কুলেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। কয়েকমাস পর দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক পরীক্ষা ও দ্বাদশ শ্রেণীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কিন্তু উপস্থিতি সংখ্যা কম এই নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক মহল। যদিও বন্ধু স্কুল চলো প্রগ্রামের পর পড়ুয়াদের হাজিরা সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct