এহসানুল হক,বসিরহাট,আপনজন: জাওয়াদের প্রভাবে নিম্নচাপের ফলে বসিরহাট জেলা জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে আলুজমি ও সবজিজমিতে জল জমেছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন বাদুড়িয়া, স্বরুপনগর, বসিরহাট,খোলাপোতা,মিনাখা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার আলু ও সবজি চাষিরা। জমিতে জল জমে থাকার কারণে আলুতে পচন ধরার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে অনেকে আলু চাষ করেছেন। এখন সেই ঋণ কিভাবে শোধ করবেন, সেই চিন্তায় মাথায় হাত তাঁদের।
পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বহু জায়গার আলুচাষিরাও। সোমবার সকাল থেকে অবিরাম বর্ষণে কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের। কৃষকদের দাবি, প্রতি বিঘায় আলু চাষে খরচ হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর সেই আলু লাগিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতির মুখে পড়বেন, ভাবতে পারেননি তাঁরা। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১ ও ২ ব্লকের সংগ্রামপুর, বেগমপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা। তাঁদের দাবি, কিছুদিন আগে বসিরহাট জুড়ে বন্যার ভ্রুকুটি কাটিয়ে চাষিরা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো তাঁরা আবার ঘুরে দাঁড়াবেন আলু চাষ করে। কিন্তু বিধি বাম। ফের জাওয়াদের জেরে ক্ষতিতে দিশাহারা চাষিরা। এখন সরকারি সাহায্যের দিকে পথ চেয়ে বসিরহাট মহকুমার চাষিরা।জাওয়াদের জেরে সেভাবে ঝড় না হলেও অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতি। বসিরহাট মহকুমা জুড়ে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বিঘার পর বিঘা আলু জমি জলের তলায়। কিছুদিন আগে যে জমিতে কৃষকরা অধিক টাকা খরচ করে আলুচাষ করেছিলেন, সেই সব জমি এখন প্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে। এই এলাকায় প্রতি বছর অর্থকরী ফসল হিসাবে আলু চাষ করেন কৃষকরা। এই বছরও ব্যাপকহারে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু জাওয়াদের জেরে অকাল বৃষ্টিতে চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। সরকার সাহায্য না করলে তাঁদের আত্মহত্যা করতে হবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct