বিশেষ প্রতিবেদক, জঙ্গিপুর: শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে গিরিয়া হাইস্কুলের শিক্ষকগণ পৌঁছে গেলেন পদ্মাপাড়ের চর পিরোজপুর গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়ির দুয়ারে। করোনা বিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি শিখন শুরু হয়েছে বিদ্যালয়গুলিতে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের হাজিরা খুব কম। তাই ‘বিদ্যালয় ডাকছে’ বা ‘দুয়ারে স্কুল’ ব্যানার সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। তাঁরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সম্পর্কে, শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলছেন -- পুনরায় স্কুলে এসে পঠন-পাঠনে মনোযোগী হওয়ার জন্য। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ নং ব্লকের অন্তর্গত গিরিয়া হাই স্কুলের শিক্ষকগণ পদ্মা নদীর পার হয়ে বাংলাদেশের বর্ডারে চর পিরোজপুর গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। গিরিয়া হাইস্কুলের পঞ্চাশজন শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরা সাতটি দলে ভাগ হয়ে সাতটি গ্রামে যায় “দুয়ারে স্কুল” কর্মসূচীতে।
কাদিকোলা, নবকান্তপুর, পুকুরকোনা, মিঠিপুর, পানানগর ,ষষ্ঠী তলা এবং চর পিরোজপুর গ্রামে। প্রধানশিক্ষক মহঃ মজিবুর রহমান নিজেই আটজন শিক্ষক নিয়ে যান সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রাম ,পদ্মা নদী পার হয়ে বাংলাদেশের বর্ডারের পাশে চর পিরোজপুর ও বাজিতপুর গ্রামে। প্রত্যেক দিন চরের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন হেডমাস্টার, ফ্রি কোচিং,নোট বই দেওয়া সহ সবরকম সাহাজ্যের আশ্বাস দেন। তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধ,শিশু শ্রম বন্ধ, মোবাইল আসক্তি দূরীকরণে অভিভাবকদের ও ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করেন । ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয় বাড়ির দুয়ারে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এ যুক্ত করা হয় যাতে তারা স্কুলের খবরাখবর সরাসরি বাড়িতে বসেই জানতে পারে ।।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct