আপনজন ডেস্ক: সদ্যই বর্ষসেরার খেতাব পেয়েছেন লিওনেল মেসি। সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ের রেশ এখনও কাটেনি আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। তবে এরই মধ্যে বড় দুঃসংবাদ এলো, মেসির ৩০০ কোটি টাকার হোটেল ‘মিম সিটগেস’ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কাতালুনিয়া সরকার।
মূলত শহরের নির্মাণ কাঠামো অনুসারে বিলাসবহুল হোটেলটি তৈরি না করায় এটি ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইংলিশ দৈনিক দ্য সানের খবর, মেসির ৭৭ শয্যার ফোর স্টার হোটেল ভাঙার নির্দেশ দেয়া হলেও আপাতত এটি মুলতবি রয়েছে। স্প্যানিশ দৈনিক এল কনফেডেনশিয়াল বিষয়টি নিয়ে মেসি এবং তার ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পায়নি।
মেসির আয়ের অন্যতম বড় উৎস হোটেল ব্যবসা। মিম সিটগেস হোটেলটি স্পেনে মেসির বাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত। বার্সেলোনা থেকে ২৬ মাইল দক্ষিণে এটি এখানে নিয়মিতই বেড়াতে যান মেসি। ২০১৭ সালে ইবিজা ও মাজুরকাতে ‘মেজিস্টিক হোটেল গ্রুপ’ এর অধীনে সমুদ্র থেকে ১০০ ফুট দূরে মিম সিটগেসে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন মেসি। এটি ছাড়াও গ্রুপটির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে পিএসজি তারকার।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতালুনিয়া সরকারের নির্দেশ অমান্য করে হোটেলটি তৈরি করা হলেও মেসি কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই বিষয়টি জ্ঞাত ছিলেন না। হোটেলটির বেলকনিগুলো কাতালুনিয়ার সিটি কোডের পরিমাপ অনুযায়ী বেশ কিছুটা বৃহদাকার। তবে মূল সমস্যা হলো বেলকনিগুলো ছোট করা হলে কিংবা ভেঙে ফেলা হলে গোটা হোটেলটির ধসে পরার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া হোটেলটির অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনাও পরিকল্পনা অনুসারে করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে দ্য সানের প্রতিবেদনে।
মেসির চার তারকা হোটেলটি ৭৭ বেডরুম বিশিষ্ট। যেখানে এক রাত অবস্থানের জন্য সর্বনিম্ন ১০৫ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় বারো হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
হোটেল মিম সিটগেস টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটি পরিবেশ বান্ধব। এমনকি বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত ৮০ শতাংশ উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
আরও পড়ুন: