আপনজন ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো গতকাল শনিবার সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর ম্যাক্রোই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা নেতা যিনি সৌদি আরব সফর করছেন। এ সফরে আরো কয়েকটি দেশে যাবেন তিনি। সৌদি সফরে ম্যাক্রোর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সালমানের কথিত ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ম্যাক্রো মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত উগ্র ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ রুখতে এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব বন্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা রয়েছে। ম্যাক্রোর পূর্বসূরি ফ্রাঁসোয়া ওলাদের সময় রিয়াদের সঙ্গে প্যারিসের সম্পর্ক উষ্ণ থাকলেও ফ্রান্স ওই সময় ব্যবসা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।
ফ্রান্স সৌদি আরবের অস্ত্রের অন্যতম জোগানদাতা। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহী দমনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সুন্নি সামরিক জোটের অভিযানে সৃষ্ট মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে। সেই কারণে সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করার নীতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য ফ্রান্সের ওপর চাপ রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল সফরের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ম্যাক্রো জানান, খাসোগি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তিনি যুবরাজ সালমানকে কোনো বৈধতা দিচ্ছেন না। তিনি দাবি করেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৌদি রাজপরিবারকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
ম্যাক্রোর মধ্যপ্রাচ্য সফর এমন সময় হচ্ছে যখন এ অঞ্চলে মার্কিন প্রশাসনের অনিশ্চিত নীতিতে সৌদিসহ উপসাগরীয় দেশগুলো কিছুটা হতাশ। খাসোগি হত্যা, ইয়েমেনে হামলা ও মানবিক সংকট প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকায় হতাশ সৌদি প্রশাসন। উল্লেখ্য, খাসোগি হত্যায় প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct