জৈদুল সেখ, বহরমপুর: মন্ত্রী হুমায়ূন কবির এর উদ্যোগে ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রেরণা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদ জেলার ১২০০ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা করার কথা বলা হয় দিন কয়েক আগে ।
সেইমতো বহরমপুর স্টেডিয়াম মাঠে শনিবার সংস্থার কর্মসংস্থানের জন্য ফর্ম জমা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। ফর্ম জমা দিতে মাঠে হাজির হয় মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবকের লম্বা লাইন যার ফলে সকাল থেকেই লাইনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফর্ম আগে জমা দেওয়ার জন্য লাইনের মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় । পরিস্থিতি সামাল দিতে লাইনের মাঝে লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
চাকরি প্রার্থী চিরঞ্জিত মন্ডল বলেন “ লকডাইনের সুযোগে সরকার চাকরি বন্ধ করে দিয়েছে, প্রাইমারি থেকে আপার, হাইস্কুল, ক্লার্ক লক্ষ লক্ষ শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ নেই! তাই আমাদের এই অবস্থা! “ এখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছে বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে।
বামপন্থী ছাত্র নেতা সন্দীপন দাস বলেন “আমরা সরকারের কাছে বার বার দাবী করেছি এই বাংলায় লক্ষ লক্ষ যুবকদের নিয়োগ করার জন্য কিন্তু ২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি যারা এখনো পর্যন্ত নিয়োগ করতে পারে না, ভুল। পরিকল্পিত ভাবে করে না, সেই সরকারের আসল চেহারা হলো এই লক্ষ লক্ষ ছেলেদের লম্বা লাইন তাও আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করার জন্য, একবার ভাবুন সরকারি হলে কী অবস্থায় হত!
উল্লেখ্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বেকার যুবকদের জন্য বিশিষ্ট সমাজসেবী মাননীয় মন্ত্রী ডঃ হুমায়ুন কবির এল অ্যান্ড টি (আন্তর্জাতিক সংস্থা) কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে, বারোশো (১২০০) ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস অষ্টম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। শনিবার ইন্টারভিউ জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে তার বায়োডাটা সহ বহরমপুর স্কুয়ার ফিল্ড এসডিও বাংলোর সন্নিকটে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল।
চাকরি প্রার্থী সাহিন সেখ জানান “ভাবলাম দশ বারো হাজার টাকার বেতন, সরকারি চাকরি যেহুতু নেই, আপাতত প্রেরণা সংস্থায় যায় কিন্তু এতো দেখছি পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ লক্ষ যুবক হাজির তাহলে আর কী করে হবে! “
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct