আপনজন ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূল কঙগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এবার দেশজুড়ে তৃণমূলকে ছাড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নেওযা হল। তার জন্য পরিবর্তন করা হচ্ছে দলীয় সংগঠন। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস ছিল আঞ্চলিক দল। মূলত পশ্চিমবাংলাকে লক্ষ্য করেই দলের সংবিধান তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন দলের পরিধি বেড়েছে। একে একে ভিন রাজ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে শুধু নয়, সেখানকার অন্য দলের নেতানেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। সবচেয়ে অবাক করার ঘটনা ঘটেছে মেঘালয়ে। বারোজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এবার মেঘালযে সরকার গড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই প্রথম অন্য রাজ্যে তৃণমূলের সরকার গড়ার সম্ভবানা তৈরি হল। এই পরিপ্রেক্ষিত্রে আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হযে নিজেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কালীঘাটের বৈঠকে এবার দলের সংবিধান বদলে দিয়ে দেশজুড়ে বিচরণ করার পথে এগিয়ে চলতে চায় তৃণমূল। লক্ষ্য ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করা। তােই তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির ২১ জন সদস্য অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন কীভাবে সর্বভারতয়ি ক্ষেত্রে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শক্তিবৃদ্ধি করতে তৃণমূলের ওযার্কিং কমিটির বৈঠকে তাই সর্বভারতী নেতারা হাজির ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, যশবন্ত সিনহা, মুকুল সাংমা, পবন ভার্মা। ছিলেন লিযেন্ডর পেজও। পাশাপাশি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৈঠক শেষ করে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, বর্তমানে বিজেপিকে মোকাবিলা করাই তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য। ২০২৪ সালে বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে। এটা ডেভেলপিং দল। সেকারণেই নতুনভাবে নীতি সাজানো হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কালীঘাটে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই আমাদের দলের সর্বভারতীয় তকমা রয়েছে। কিন্তু গত ৫ই জুন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে কিছু নিয়মের বদল হবে। ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা, বিহার, মেঘালয় সহ সর্বভারতীয় স্তরে আমাদের দলের বিস্তার ঘটেছে। তাই নতুনভাবে নীতি সাজানো হচ্ছে।
ডেরেক আরও বলেন, তৃণমূলের বেসিক স্ট্রাকচারে বদল হচ্ছে না। আমাদের কর্মীরা আমাদের গর্ব। কত কর্মী এই দলের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। মমতা দিদি ২৬ দিন অনশন করেছেন। দলের ডিএনএ বদলাবে না, নীতি বদলাবে। তাই তৃণমূলের সংবিধান বদল করে নতন করে সারা ভারত জুড়ে দলের প্রসার বাড়াতে তৎপর হতে চলেছে তৃণমূল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct