আপনজন ডেস্ক: প্রকৃতিতে শীতের আমেজ চলে এসেছে। এ সময় সব বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশি ভোগেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। তাই শীতকালে অনেকেই মধু খেতে ভালোবাসেন। উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে মধু প্রথমেই থাকবে।
উপকারিতা
মধু প্রাকৃতিকভাবেই ব্যথানাশক ও রোগজীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। শীতকালে বেশির ভাগ মানুষ সর্দিকাশিসহ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভোগেন। গলাব্যথা, খুসখুসে কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ ঋতু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় মধু খুব ভালো সমাধান দিয়ে থাকে।
শ্লেষ্মাজনিত কাশি বা কফের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জমাট বাঁধা কফ পরিষ্কার হয়ে যায়।
খুসখুসে কাশির সমস্যায় আদাকুচি জলে ফুটিয়ে রস তৈরি করে তার সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেলে তা অনেকটাই কমে যাবে।
হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়।
শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
শীতে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বককে মসৃণ টান টান রাখতে চাইলে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।
শীতে অনেকের শরীরে বিভিন্ন ব্যথা বেড়ে যায়। এ জন্য প্রতিদিন মধু খেতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct