ফৈয়াজ আহমেদ: হার্টঅ্যাটাকের জন্য দায়ী হচ্ছে চর্বি ও কোলেস্টেরল, যা ধমনীতে ব্লক তৈরি করতে পারে। সময়মতো ব্লকেজ অপসারণ না করলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের টিস্যুগুলো মারা যেতে শুরু করে।
হার্টঅ্যাটাক হলে তার কিছু লক্ষণের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু এর বাইরেও বেশ কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণও দেখা দিতে পারে। আর এসব লক্ষণ সম্পর্কে না জানার কারণে আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না যে হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। আর বিশেষ করে এমনটি হয়ে থাকে ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের ক্ষেত্রে।
‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাক বুঝতে না পারার কারণে অনেকেই আগে থেকে সতর্ক হতে পারেন না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেনে নিন ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের অস্বাভাবিক ৫ লক্ষণ সম্পর্কে—
১. ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা
ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা হলে তা অনেকের কাছেই মনে হতে পারে যে তা হার্টের সঙ্গে সম্পর্কিত না। কিন্তু এটিও হতে পারে ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের একটি লক্ষণ। এটি হয়ে থাকলে আপনার চোয়াল থেকে শুরু করে ঘাড় পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. বাহুতে ব্যথা বা ঝিনঝিন করা
শরীরের বাহুতে ব্যথা বা ঝিনঝিন করাও হতে পারে ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের আরেকটি লক্ষণ। এটি বেশিরভাগ সময়ে বাম বাহুতে অনুভূত হয় এবং শরীরের বাম দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এমনটি বুকে অস্বস্তি ও ঘাড় ব্যথার পাশাপাশিও হতে পারে বা নাও হতে পারে।
৩. ঘাম
হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া যদি আপনার ঘরে বসে বা মাঝরাতে প্রচুর ঘাম হয় তা হলে সেটি ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের সংকেত হতে পারে। তাই এমনটি হয়ে থাকলে তাকে হালকাভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. শ্বাসকষ্ট ও মাথা ঘোরা
‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাকের আরেকটি লক্ষণ হতে পারে শ্বাসকষ্ট ও মাথা ঘোরা। এমনটি হঠাৎ করেই দেখা দিলে সেটিকে হালকাভাবে না নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এটি নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।
৫. বুকজ্বালা ও পেটব্যথা
অনেক সময় ‘মৃদু’ হার্টঅ্যাটাক হয়ে থাকলে তা পেটসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বুকজ্বালা ও পেটব্যথা তার অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। আর এটি প্রায়ই পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই এমনটি হয়ে থাকলে তা অবহেলা করা উচিত নয়।
হার্টঅ্যাটাক অনেক ভয়ের একটি বিষয়। আর এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে— স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অভ্যাস অনুসরণ করা এবং চাপমুক্ত জীবনযাপন করা। আর হার্টঅ্যাটাকের কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তা নিয়ে দ্রুতই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
প্রাথমিকভাবে সবার যেসব স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা উচিত
“চল্লিশোর্ধ সব ব্যক্তির নিয়মিত বিরতিতে কয়েকটি বিশেষ পরীক্ষা করা প্রয়োজন”।
“যেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো রক্তের সিবিসি পরীক্ষা।”
হিমোগ্লোবিনসহ রক্তের অন্যান্য কণিকাগুলো সঠিক অনুপাতে আছে কিনা - তা দেখা হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
বয়স চল্লিশ পার হওয়ার পর ক্যান্সার বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে যার প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রায় তারতম্য দেখা দিতে পারে।
এছাড়া রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষার মধ্যে কিডনির ‘ক্রিয়েটিনিন’ পরীক্ষা এবং লিভারের ‘এএলটি বা এসজিপিটি’ পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ।
আর বয়স চল্লিশ পার হওয়ার পর সাবরই ডায়বেটিস এবং কোলস্টোরেলের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct