আপনজন ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করতে চেয়েছিলেন গদ্দাফিপুত্র সাইফ আল-ইসলাম আল-গদ্দাফি (৪৯)। সেই আবেদন করার আগে বন্দুকধারীরা আদালতে হামলা চালিয়েছে বলে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ১৪ নভেম্বর সাইফ আল-ইসলাম আল-গদ্দাফি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত বুধবার তাঁর মনোনয়নপত্রসহ ২৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আবেদন জানাতে পারবেন তিনি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লিবিয়ার সরকার শুক্রবার ওই হামলাকারীদের ‘অপরাধীদের একটি দল’ বলে অভিহিত করেছে। সরকার জানায়, তাদের ‘ঘৃণ্য’ আক্রমণের ফলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর সেবার আদালত বন্ধ হয়ে যায়।
ওই হামলার ব্যাপারে গদ্দাফিপুত্রের আইনজীবী খালেদ আল-জাইদি জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে আবেদন করতে যাওয়ার সময় বন্দুকধারীরা তাকে বাধা দেয়। খালেদ আল-জাইদি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আপিল শুনানির কয়েক ঘণ্টা আগে অস্ত্রের মুখে বন্দুকধারীরা আদালতের সব কর্মীকে আদালত ভবন থেকে বের করে দেন।
লিবিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার যোগ্যতা হারিয়েছেন সাইফ আল-ইসলাম। ২০১৫ সালে তার অবর্তমানে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফ আল–ইসলামের নামে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে গদ্দাফির আমলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গদ্দাফি যুগের অবসানের পর লিবিয়াজুড়ে যে সংঘাত চলছে, এ নির্বাচনকে সেই সংঘাত থামানোর মাধ্যম মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: