এম মেহেদী সানি, গোবরডাঙ্গা: উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ ৷ সম্প্রতি ওই কলেজে নতুন করে পরিচালন সমিতি গঠন করা হয়েছে৷ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল - এর নিরিখে পরপর দুবার এ-গ্রেড পাওয়া গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের নবগঠিত পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শংকর দত্ত। সম্পাদক হয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ হরেকৃষ্ণ মন্ডল ৷ এর পাশাপাশি গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ’-এ এই প্রথম ড. সাবিয়ার রহমান নামে এক সহকারী অধ্যাপক পরিচালন সমিতিতে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন । কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কোন মুসলিম পরিচালন সমিতিতে স্থান পাওয়ার সংখ্যালঘু সমাজ বেশ আনন্দিত ৷ এ প্রসঙ্গে গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের নবগঠিত পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শংকর দত্ত “আপনজন”-এর প্রতিনিধিকে জানান “সম্ভবত ড. সাবিয়ার রহমান প্রথম কিন্তু সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, মমতা ব্যানার্জি যেটা বিশ্বাস করেন যে মানুষ আগে, ধর্ম বড় কথা নয় ৷ মানুষের প্রয়োজন ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো এ রকম বিভাজন রেখা তৈরি করে দেয় এবং এই রকম হিন্দু-মুসলমান সংখ্যালঘু নানান রকম বিষয়টাকে সামনে এনে সমাজটাকে একটুখানি অস্থির করবার একটা প্রক্রিয়া চালায়। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি এমন একজন মানুষ তিনি সব মানুষের নেত্রী। তাঁর কাছে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই সমান। আগে তাঁর কাছে মানুষ, সেই মানুষ হিসেবে মনে হয়েছে ড. সাবিয়ার রহমান একজন যোগ্য অধ্যাপক এবং কাজের মানুষ। আগামীদিনে এই কলেজের উন্নয়নে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, সেবা দিতে পারবেন সেই ভাবনা থেকেই উঠে আসা ৷ তবে অবশ্যই মনে রাখা দরকার মমতা বন্দোপাধ্যায় যে সবাইকে সমান চোখে দেখেন এটা আমাদের সরকারের উদারতা ৷ এটা একটা তাঁর উদাহরণ ৷”
পরবর্তী কর্মসূচী জানতে চাওয়া হলে শংকর দত্ত বলেন “দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল, কলেজ সব খুলেছে। সরকারি নির্দেশে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন চলছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলছি কলেজ আসতে কিন্তু করোনাবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ করা হচ্ছে ৷ ক্লাসরুমে অল্পসংখ্যক ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে ক্লাস করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ পঠনপাঠন ব্যবস্থার উন্নয়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যেটা ছাত্র-ছাত্রীরা ভুলতে বসেছে সেই জায়গাটাকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে তাদেরকে কলেজমুখী করার চেষ্টা করছি” বলে জানান ৷
নতুন দায়িত্ব পেয়ে ড. সাবিয়ার রহমান বলেন সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু সেটা বড় কথা নয় আমি আনন্দিত কাজ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য। কলেজের সর্বাঙ্গীন বিকাশ এবং উন্নয়ন সাধন আমার মূল লক্ষ্য ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct