নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভোর তিনটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ফড়েদের দৌরাত্ম্যে সরকারি কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত চাষিরা এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার তুলসীহাটা কিষান মান্ডিতে কৃষি আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক।যদিও পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ হয়।
জানা যায় সরকারি নির্দেশে তুলসীহাট কিষান মান্ডিতে সরকারি মূল্যে ধান ক্রয়ের জন্য অগ্রিম কুপন বিলি শুরু হয়েছে।বুধবার ছিল কুপন বিলির প্রথম দিন। ভোর তিনটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে চাষিরা।অপরদিকে ফড়েরা ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে কুপন নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।এতে প্রকৃত চাষিরা ধান বিক্রি করতে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কৃষি আধিকারিক দীপঙ্কর সিকদার জানান, এবছর সরকারি ভাবে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা।অপরদিকে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে কুইন্টাল প্রতি ২০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার।চাষি প্রতি ৪৫ কুইন্টাল করে ধান নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও জেলা অনুযায়ী ২৫ কুইন্টাল করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের ৬ তারিখ থেকে ধান ক্রয় শুরু হবে। প্রায় ৬ হাজার চাষির কার্ড রয়েছে। ধীরে ধীরে সকল চাষির কাছ থেকে ধান কেনা হবে। এদিন অনেক চাষি না জেনেই সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।পুলিশের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণ হয়। প্রকৃত চাষিরাই একমাত্র ধান বিক্রি করার সুযোগ পাবে।ফড়েদের এখানে কোনো দৌরাত্ম্য চলবে না।
এক চাষি মহম্মদ নায়েক নুর আক্তার জানান ফড়েরা ভোর তিনটা থেকে লাইনে লোক দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এতে প্রকৃত চাষিরা ধান বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ছে।ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমে গেলেই প্রকৃত চাষিদের ধান বিক্রি করতে পারবে।এটাতে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct