আপনজন ডেস্ক: নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে পৌঁছে যান তিনি। তার আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মমতার সঙ্গে বৈঠক করলেও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে মমতাকে রাজীব গান্ধির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এদিন মোদির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্য সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি বিএসএফের এখতিয়ার সম্প্রসারণের বিষয়েও তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে চলা উচিত। তবে আমি বিএসএফ-র বিরোধী নই। কিন্তু বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। কয়েকদিন আগেই কোচবিহার জেলায় বিএসএফ-র গুলিতে কয়েকজন মারা গিয়েছে। সেই উদাহরণ তুলে ধরে বাংলার আপত্তির কথা জানিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছি।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর এটি মমতার দ্বিতীয় সফর। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এটি তার প্রথম দিল্লি সফর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি ছাড়াও ত্রিপুরায় সহিংসতা নিয়ে কথা বলে। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। এপ্রিলের বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান। মমতা বলেন, শিল্প-বিনিয়োগের স্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। উনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই সৌজন্য বজায় থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি। উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কাম্য নয়।
যদিও রাজ্যের বকেয়া আদায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ৯৬ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীজিকে বলেছি। টাকা না পেলে আমাদের রাজ্য চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাবদ টাকা বকেয়া কেন্দ্রের কাছে। সেই বকেয়া ছাড়তে আবেদন করেছি।’ পাশাপাশি ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে বাংলার জন্য ভ্যাকসিন বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়েও। বাংলায় এখন যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: