আপনজন ডেস্ক: রূপালি পর্দায় নয়, দেশের ক্রিকেট জগতে নতুন উত্থান আর এক শাহরুখ খানের। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে কর্নাটককে হারিয়ে দিল তামিলনাডু। শেষ বলে ছক্কা মেরে তামিলনাডুকে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা এনে দিলেন শাহরুখ। কর্নাটকের বিরুদ্ধে বোলিং দাপটের শুরু করেছিলেন রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর, আর ব্যাটিং দিয়ে শেষ করলেন শাহরুখ! এবাবেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেল তামিলনাডু। বাঁ হাতি স্পিনার রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর শুরুতে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
আর শেষ বলে ছয় মেরে তামিলনাড়ুকে মুস্তাক আলি ট্রফি জেতালেন শাহরুখ খান। একেবারে বলিউড বাদশাহর মতো।
আগে ব্যাট করে কর্নাটক তুলেছিল ১৫১-৭। অভিনব মনোহর ৩৭ বলে ৪৬ করেন। প্রবীণ দুবের ২৫ বলে ৩৩। ৭ বলে ১৮ জগদীশ সুচিথের। শুরু থেকেভাল বল করেন কিশোর। কর্নাটকের দুই ওপেনার রোহন কদম (০) ও মণীশকে (১৩) দ্রুত ড্রেসিংরুমে পাঠান। বিআর শরথকেও ১৬ রানে আউট করেন তিনি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে কিশোর নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফাইনালে সেই ধাক্কাটাই সামলাতে পারেননি মণীশ-করুণরা। টি নটরাজন ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ুর হরি নিশান্ত ২৩ করে ফেরেন। নারায়ণ জগদীশন অবশ্য ৪১ করে যান। বাকিটা শাহরুখের বিস্ফোরণ। শাহরুখ যখন ব্যাট করতে আসেন, তখন স্কোরবোর্ডে ১৭.১ ওভারে তামিলনাড়ুর ১১৬-৫। ট্রফি জিততে হলে ১৭ বলে ৩৫ রান দরকার। সেখান থেকে একাই ১৫ বলে ৩৩ করেন তিনি। ১টা চার ও ৩টে ছয় মেরে খেলা জিতিয়ে দেন। শেষ ৬ বলে তামিলনাড়ুর দরকার ছিল ১৪ রান। ৫ বলে ১১ তুলে ফেলেন কিশোর-শাহরুখ জুটি। শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ৩ রান। প্রতীক জৈনকে বিশাল ৬ মারেন শাহরুখ। ১৫৩ তুলে টানা দ্বিতীয়বার মুস্তাক আলি ট্রফি চিতে নেওয়ার সম্মান লাভ করল তামিলনাড়ু।
২০১৮ সাল থেকে ধরলে মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখিয়ে আসছে কর্নাটক আর তামিলনাড়ু। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পর পর দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়াররা। তার মধ্যে শেষবার তামিলনাড়ুকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কর্নাটক। শেষ দু’বার আবার দাপট দেখাচ্ছেন বিজয় শঙ্করের টিম। এই হিসেব ধরলে ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে শক্তিশালী এই দুই রাজ্য। চার বারের মধ্যে তিনবার করে ফাইনালে উঠেছে তারা।
আরও পড়ুন: