আপনজন ডেস্ক: সুদানে উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদককে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সুদানে গত মাসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে মি. হামদক দেশটির সামরিক নেতাদের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যাতে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিদান এবং টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি মন্ত্রিসভা গঠনের কথা আছে। মি. হামদক তার দেশে চলমান সহিংস বিক্ষোভ অবসানেরও আহ্বান জানান। অবশ্য সুদানের প্রধান বিরোধী জোট এফএফসির একাংশ মি. হামদককে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, জনাব হামদকের মাথায় বন্দুক ধরে এ চুক্তি করানো হয়েছে। তাছাড়া রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির শহরগুলোতে বিক্ষোভরতদের অনেকে বলছে, সামরিক বাহিনীকে বিশ্বাস করা যায় না। এর আগে বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকের দফতর জানায়, তার চলাচলের ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে এবং তার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর যে লোকেরা পাহারা দিচ্ছিল, তারা চলে গেছে। গত ২৫ অক্টোবর সামরিক বাহিনী দেশটির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, এবং তখন থেকে মি হামদক গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। এর প্রতিবাদে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয় তাতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে জনাব হামদককে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার ব্যাপারে সামরিক বাহিনী, বেসামরিক নেতৃবৃন্দ এবং সাবেক-বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি হয়।
এর সঙ্গে জড়িত আলোচকরা জানিয়েছেন, একটি সরকারি ঘোষণায় সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। তবে তার আগে জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ আল-বুরহানের ক্ষমতাসীন কাউন্সিলের একটি বৈঠক হবার কথা রয়েছে। জনাব হামদককে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে যে, দেশে রক্তপাত বন্ধ করার স্বার্থে এই চুক্তির শর্ত তিনি মেনে নিয়েছেন।
অবশ্য দেশটির প্রধান বিরোধী জোট এফএফসি, যারা ২০১৯ সালে ওমর আল-বশিরের পতনের পর সামরিক বাহিনীর সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির একটি চুক্তি করেছিল, তাদের একটি অংশ জনাব হামদককে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার এ নতুন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। রাজধানী খার্তুমসহ সুদানের অন্যান্য শহরে এখনও বিক্ষোভ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct