আপনজন ডেস্ক: তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইনে কেন্দ্রের পিছু হটার পর উৎসাহিত হয়ে কৃষকদের সম্মিলিত সগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা রবিবার সিঙ্ঘু সীমান্তে মিলিত হন। সেকানে তারিা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৯ নভেম্বর সংসদ অভিমুখে একটি মিছিল করে যাবেন তারা যখন শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর কৃষক নেতারা তাদের প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
তাদের মুলতুবি দাবি উত্থাপন করে জানানো হয় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন দরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তিনটি কৃষি আইন, যার বিরুদ্ধে কৃষকরা এক বছর ধরে আন্দোলন করছেন, তা প্রত্যাহার করা হবে। কৃষকরা জোর দিয়ে বলেছেন যে আইনগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। এমএসপি সম্পর্কিত একটি আইনের পাশাপাশি, তারা গত এক বছরে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশ মামলা প্রত্যাহারের ও দাবি জানিয়েছে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার লখনউতে একটি কিষাণ মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ স্যার ছোটু রামের জন্মবার্ষিকীতে কিষাণ মজদুর সংগ্রাম দিবস পালন করা হবে। ২৬ নভেম্বর দিল্লি সীমান্তে একটি পদযাত্রা হবে। আর ২৯ নভেম্বর সংসদ অভিমুখে পদযাত্রার আয়োজন করা হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ২৭ নভেম্বর আরেকটি বৈঠক ডেকেছে।
তবে, এদিনের বৈঠকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আন্দোলনের সময় নিহত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার তেলেঙ্গানা সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেছে, যখন নরেন্দ্র মোদী বা তার সরকার প্রায় ৭০০ সাহসী কৃষকের ত্যাগকে স্বীকার করতে চায়নি তখন তেলেঙ্গানা সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার। তবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা যে চিঠি লিখেছে তার মূল সারমর্ম হল: চাষাবাদের সম্পূর্ণ খরচের উপর ভিত্তি করে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যকে সকল ফসলের জন্য কৃষকদের আইনগত অধিকার দেওয়া উচিত, যাতে দেশের প্রতিটি কৃষক সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে তার ফসল কেনার নিশ্চয়তা পেতে পারে। সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল ২০২০-২১ -এর খসড়া প্রত্যাহার করা উচিত।ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা বৃহত্তর দিল্লি এলাকা ও এর আশেপাশের অঞ্চলে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০২১কৃষকদের জন্য শাস্তির বিধান প্রত্যাহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, আপনার বক্তব্যে এসব বড় দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষকরা আশা করেছিলেন যে এই ঐতিহাসিক আন্দোলন শুধুমাত্র তিনটি আইন বাতিল করবে না, তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মূল্যের আইনি গ্যারান্টিও পাবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct