জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। যার ফলে দীর্ঘদিন পরই ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়মুখী হয়েছে। সুযোগ মিলেছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার। তাই নতূন করে আনন্দ যেন খুঁজে পেয়েছে তারা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাদের পড়াশোনাটাও ছিল প্রায় বন্ধের মুখে। কিন্তু বিদ্যালয়ে পরিচিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের না পেয়ে হতাশ হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীই।
কারণ, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেকেই পুরানো বিদ্যালয় ছেড়ে পছন্দের বিদ্যালয়ে চলে গেছেন বা যাওয়ার মুখে। এমনকি গ্রামাঞ্চলের বহু শিক্ষক শিক্ষিকা শহরের স্কুল গুলিতে গিয়ে ভিড় করেছেন বলে দাবী করছেন গ্রামবাসীরা। ফলে গ্রামের স্কুল গুলিতে শিক্ষকের শূন্যতা চোখে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে। অন্যদিকে বহু বিদ্যালয় গুলোতে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নেই বললেই চলে। যার ফলে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র ছাত্রীরা বিপাকে পড়ছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধীরে কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আগামী দিনেও শিক্ষক নিয়োগ হবে কি না ? তা বলবে সময় !
ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ছাত্র ছাত্রীরা। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষিকারা শহরে যাচ্ছেন ঠিকই ,কিন্তু সেই শূন্য পদে শিক্ষক শিক্ষিকা আসছেন না। ফলে বিপদ যেন বেড়েই চলেছে। বিপদ কমার কোন সম্ভাবনাই নেই আপাতত। এবিষয়ে শিক্ষক তথা এস.টি.ই.এ- র পুরুলিয়া জেলা সভাপতি ভূপাল চন্দ্র মাহাত বলেন, শহরাঞ্চলের স্কুল গুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা ঠিক থাকলেও গ্রামাঞ্চলের স্কুল গুলোতে শিক্ষকের সংখ্যাটা তুলনা মূলক কম। উৎসশ্রী প্রকল্পের সাথে সাথে শিক্ষক নিয়োগ অবিলম্বে না হলে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু বলেন ,নিয়ম মেনেই শিক্ষকরা অন্যত্রে বদলি হয়ে যাচ্ছেন তবে বর্তমানে যে সকল স্কুল গুলোতে শিক্ষকের অভাব দেখা দিয়েছে তা পূরণ হবে শীঘ্রই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct