আপনজন ডেস্ক: সব প্রেমের সম্পর্ক যে শেষ পর্যন্ত টিকে যায়, তা কিন্তু নয়। বরং বেশিরভাগই শেষ হয় বিচ্ছেদে। কিছুদিন বিরহে পুড়ে একটা সময় মানিয়ে নেয় মানুষ। প্রাক্তন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন বা বিয়ে করছেন জানলে সেই খবর কারও জন্যই সুখকর অনুভূতি দেয় না। তখন ভর করতে পারে মন খারাপ। ভেবে দেখুন, আপনার প্রাক্তন কি তার মতো করে নিজের জীবন সাজিয়ে নেবে না? তাই মন খারাপ না করে মেনে নিতে চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে তাকে শুভকামনা জানান। কী করলে নিজেকে সামলে নিতে পারবেন? জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আপনার প্রাক্তন ও আপনার কয়েকজন কমন ফ্রেন্ড তো রয়েছেই। যে বা যারা আপনাদের দুজনকে চেনেন, আপনাদের খোঁজ-খবর রাখেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিন। নয়তো তিনি বা তারা আপনাকে আপনার প্রাক্তনের বিয়ের খবর দিয়ে বিরক্ত করতে চাইবে। সেগুলো শুনে আপনার লাভ নেই। বিয়ের পর আপনার প্রাক্তন কেমন আছেন সেকথাও জানাতে চাইবেন সেসব কমন ফ্রেন্ডরা। তাই আগেভাগে তাদের বাদ দিন বা এড়িয়ে চলুন। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর যোগাযোগ না থাকলেও আপনি কোনো না কোনোভাবে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কড়া নজর রাখছেন। এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তার বিয়ের ছবি, ভিডিও সবকিছু দেখা বন্ধ করুন। আপনার এ ধরনের আচরণ আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে তাকে জীবনের সবকিছু থেকে মুছে ফেলুন। যখন সম্পর্ক ছিল, তার জন্য অনেক আবেগও নিশ্চয়ই কাজ করতো আপনার মনে। যে কারণেই হোক, সম্পর্কটি টেকেনি। এখন এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এর মানে এই নয় যে সব আবেগ উবে গেছে। কিছু আবেগ তো থেকে যেতেই পারে। তাই প্রাক্তনের বিয়ের খবরে নানা স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। আপনার কষ্ট হতে পারে। কান্না পেতে পারে। তাই কান্না পেলে কান্না করে নিন। রাগ হলে নিজেকে সামলে নিন। আবেগ চেপে রাখবেন না। এরপর পুরোপুরি মুছে ফেলুন। প্রাক্তন বিয়ে করে নিয়েছেন মানে আপনার জীবনটা শেষ নয়। আপনারা দুজনেই নিজের মতো করে শুরু করার অধিকার রাখেন। তিনি তার মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনিও আপনার মতো এগিয়ে যাবেন। আবার তিনি বিয়ে করেছেন বলেই যে আপনাকে বিয়ে করে দেখিয়ে দিতে হবে তা কিন্তু নয়। তার জীবনের কোনো পরিবর্তনের খবর শুনে নিজেও সেটি করে দেখানোর দরকার নেই। আপনার সবকিছু হবে আপনার প্রয়োজন মাফিক। এই বাস্তবতা যত দ্রুত মেনে নেবেন ততই মঙ্গল। নিজেকে ভালোবাসার বিষয়টি অনেকে বুঝতে পারেন না। অথচ এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে ভালোবাসা মানে হলো নিজেকে সম্মান জানানো, নিজের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দেওয়া। যা পড়তে ভালোলাগে তাই পড়ুন, যা করতে ভালোলাগে তাই করুন, যা খেতে ভালোলাগে তাই খেয়ে নিন। মোট কথা, নিজেকে সময় দিন। এতে করে অন্য কেউ ভালো না বাসলেও ততটা কষ্ট হবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct