বিশেষ প্রতিবেদক, কালিয়াচক: ২৪ ঘন্টায় গাড়ি চলাচল। এরকম এক ব্যস্ততম রাস্তার মাঝে সামান্য একটু জায়গায় চলছে দিন গুজরান। প্রতি মুহুর্ত বিপদ হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাঁকে। এই ঝুঁকির মধ্যেও চলছে বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়ার বেঁচে থাকার লড়াই। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চার লেনের রাস্তার ডিভাইডারের একচিলতে জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাঁর। দিন পাঁচেক ধরে টানা রয়েছেন সেখানে। স্থানীয় রা বলছেন ভবঘুরে হতে পারে। স্থানীয় কেউ নন। হয়তো বাইরে থেকে এসে আর কোথাও যেতে না পেরে আশ্রয় নিয়েছেন ওই ‘নিরাপদ’ জায়গায়। খবর গেছে বিডিও-র কাছেও। তিনি তদারকি করে বিষয়টি দেখছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
কালিয়াচক শহরে চৌরঙ্গি মোড়ের কাছে বলতে গেলে মাত্র শতাধিক মিটার দূরে জাতীয় সড়কের মাঝে খোলা আকাশের নীচে ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলছে ওই প্রৌঢ়ার সংসার। তাঁর কাছে রয়েছে একটি বস্তা, তার মধ্যে রয়েছে কাপড়, জলের বোতল, আর কুড়িয়ে পাওয়া কিছু সামগ্রী। এক কলেজ পড়ুয়া স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ খান, দোকানদার মুফতি মামুদ, ড্রাইভাররা জানান ‘দিন পাঁচেক ধরে তাঁকে দেখছি। শুনছি বেশ কিছুদিন থেকেই থাকছেন। কয়েকদিন থেকে দেখছি সড়কের জাতীয় সড়কের মাঝে। এভাবে দেখে খারাপও লাগছে। অবিলম্বে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।’
কালিয়াচক ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি সারিউল সেখ বলেন, ‘খবর পেয়েই রাতেই ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনছি যাতে ওই মহিলার একটা ব্যবস্থা হয় এবং নিরাপদে থাকতে পারেন তিনি। কোথাকার কবে এসেছে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। শীতের রাতে একটা সাধারণ চাদর জড়িয়ে থাকে। সেই দিকটাও দেখা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট কালিয়াচক-১ ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার বলেন, ‘খবরটি আমরা এই মাত্র পেয়েছি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা এই ধরণের খবর পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এই বিষয়েও খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct