সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, বারুইপুর: অফিসিয়াল নানা কাজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হতো শিক্ষকদের। তবে দেখা হতো না প্রিয় ছাত্র- ছাত্রীদের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর পড়ুয়াদের সঙ্গে ক্লাসরুম শেয়ার করতে পেরে আপ্লুত শিক্ষকরা। তবে প্রথম দিনে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেশ কম। যা ভাবাচ্ছে শিক্ষকদের।
মঙ্গলবার রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বিধি মেনেই সারা রাজ্যের সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাতেও খুলেছে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি। প্রথম দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি পরিদর্শন করেন জনপ্রতিনিধি, জেলা, মহকুমা ও ব্লক প্রশাসক এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এদিন বারুইপুর বয়েজ ও গার্লস হাই স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন বারুইপুরের মহকুমা শাসক। ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম ও ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় সাতুলিয়া ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, ভগবানপুর হাইস্কুল, পোলেরহাট হাই স্কুল ও কাঁঠালিয়া হাই স্কুল পরিদর্শন করেন। ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশন স্কুল পরিদর্শন করেন ক্যানিং ১ নম্বরের বিডিও।
ছাত্র- ছাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে ফুল ও বেলুনে সেজে ওঠে জেলার বিভিন্ন স্কুল গুলি। অনেক স্কুলে পড়ুয়াদের গোলাপ ও কলম দিয়ে বরণ করা হয়।
সাতুলিয়া ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সুপার শেখ গোলাম মঈনুদ্দিন বলেন, “উপস্থিতির হার নিয়ে সামান্য হলেও আশঙ্কা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত। স্কুল খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
লাঙলবেঁকি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অনেক পড়ুয়া কর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রথম দিনে উপস্থিতির হার বেশ কম। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে।
পোলেরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ কুমার সরকার বলেন, “ দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে একটা প্রজন্মের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।” যা হয়তো পুরণ করার মতো নয়। তবে আমরা ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।”
ভগবানপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনয়ন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ ছাত্র - ছাত্রীরা স্কুলে এসেছে দীর্ঘদিন পর। ওরা বন্ধন থেকে মুক্তি পেল। ওদের মুক্তি মানে আমাদেরও মুক্তি।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct