পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন সহ নানা উন্নয়নে রাজ্য সরকার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। এর ফলে আন এডেড মাদ্রাসাগুলি ধুঁকছে। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের নির্দেশ কার্যকর করার দাবিতে জোরদার আন্দোলন শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি। সোমবার কোচবিহার জেলা থেকে শুরু হল সেই আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে শতাধিক শিক্ষকের একটি মিছিল কোচবিহার শহরের রাজবাড়ি থেকে শুরু হয়। তারপর শেষ হয় জেলাশাসকের দফতরের সামনে।জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির নেতৃত্ব। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক রুহুল মিঞা, নজরুল, বেলাল, মুকসেদুল, সইদুল সহ আরো অনেকে। কোচবিহার থেকে এদিন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পরবর্তীতে তা অন্য রাজ্যেও আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির রাজ্য সম্পাদক আবদুল ওহাব মোল্লা। তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর মুশিদাবাদ, উওর দিনাজপুর, বীরভূম, সহ সারা রাজ্যে। তারপর কলকাতার বৃহওর আন্দোলন হবে। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য সরকারি নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করা।
পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির রাজ্য সম্পাদক আবদুল ওহাব মোল্লা এই আন্দোলন প্রসঙ্গে আপনজনকে জানান, মমতা ব্যানার্জি ২০১১ সালে আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই কোচবিহার জেলায় সবথেকে বেশি সাড়া পড়েছিল। তারফলে কোচবিহারে মোট ৫৪ টি আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন হয়েছিল। জেলার মানুষ বুকভরা আশা নিয়ে মাদ্রাসার জন্যে জমি দান করেছিলেন আর শিক্ষিত বেকার ছেলেরা অনেক আশা নিয়ে শিক্ষকতা করছে।
তিনি আরও বলেন, ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান করে ২০১১ সালে মা মাটি মানুষের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল সংখ্যালঘুদের বড় সমর্থন পেয়ে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিক সম্মেলন করে ১০০০০ আন এডেড মাদ্রাসা দেওয়ার কথা বলেছিলেন।এরপর ২০১৩ সালের ৮ ই ফ্রেব্রুয়ারী মাইনোরিটি ও মাদ্রাসা দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি পি বি সালিম সাহেব সাহেব একটা অর্ডার দিয়েছিলেন প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে। সেই অর্ডারে বলা ছিল অনুমোদিত আন এডেড মাদ্রাসাগুলিকে সরকারী সমস্ত সাহায্য ও সহযোগিতা করবে দফতর। এখন পর্যন্ত মাত্রা ২৩৪ টি আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং পিবি সালিম সাহেবের অর্ডারটি আজও বাস্তবায়িত ও কার্যকর হয়নি।দুঃখের বিষয় আজ প্রায় পাঁচটা বছর হয়ে গেল অনুমোদন। তার আরো অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের SPQEM এর স্কীম থেকে ২০১৩ -১৪ সালে একবার মাএ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন পেয়েছিল। তারপর থেকে রাজ্য সরকার দিল্লীতে U.C সাটিফিকেট না দেওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় স্কীম থেকে বঞ্চিত আন এডেড মাদ্রাসা গুলি। তাই সরকারি সাহায্য পাওয়ার লক্ষ্যে জোরদার আন্দোলনে নামা হয়েছে বলে জানিয়েছে পঃবঃ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি।