আপনজন ডেস্ক: লিবিয়ার প্রয়াত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল-গদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদে প্রতিদন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। গদ্দাফির মৃত্যুর পর খুব কমই জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। রোববার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধনের জন্য তিনি জনসম্মুখে আসেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেবাতে তিনি তার মনোনয়ন নিবন্ধন করেছেন বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে।
মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর করার সময় ৪৯ বছর বয়সী সাইফকে সাদা দাড়িতে চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। এ সময় তার পরনে ছিল বাদামি চাদর, তার বাবা গদ্দাফির পোশাকের সঙ্গে যার মিল রয়েছে। দেশে তার কতটা জনসমর্থন আছে বা তার প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ মূলত পশ্চিমা মিডিয়ার উপর নির্ভর করছে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এর আগে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে সাইফ জানিয়েছিলেন, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান। তিনি বলেন, আমি দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।
২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
ওই অভুত্থানে গদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন। পরে ২০১৫ সালে সাইফসহ আটজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
বাবা গদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গদ্দাফির সাত সন্তানের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনজন।
২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে গদ্দাফি খুন হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসম্মুখে তেমন দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: