আপনজন ডেস্ক: অনেকের বয়সের আগেই শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে গাউট বা গেঁটেবাত। এই রোগ হলে পায়ের বুড়ো আঙুলে কিছুদিন পরপরই তীব্র ব্যথা হয়ু। হাঁটা-চলার বেশ সমস্যা হয়। দেখা যায়, ব্যথার ওষুধ খেয়েও ঠিক অতটা ব্যথা কমছে না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে খেয়ে আবার না বাঁধিয়ে ফেলেছেন পাকস্থলীতে আলসার। এরকম ঘটনা নিয়ে প্রায়ই অনেক রোগী ডাক্তারের কাছে এসে থাকেন। এই রোগটিকে মেডিকেলের ভাষায়ও গাউট বা গেঁটেবাত বলে। বায়োমেড ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্চ ল্যাবের ফিজিশিয়ান ডা. মুহম্মদ মুহিদুল ইসলাম এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। গাউট রোগের কারণ কী? এটি রক্তের ‘ইউরিক এসিড’ বেড়ে গেলে এই রোগটি হয়। ইউরিক এসিডের লবণ অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে জমা হয়। সবচেয়ে বেশি জমা হয় পায়ের বুড়ো আঙুলের গোড়ায়। এছাড়াও পায়ের গোড়ালী, হাঁটু ইত্যাদি জায়গাতেও এই ইউরিক এসিডের লবণ জমা হতে পারে এবং ব্যথা করতে পারে। যাদের এই রোগটি হয়, তারা ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিছুদিন পরপরই এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ খেয়ে আরো বিভিন্ন নতুন রোগ বাঁধিয়ে বসেন। রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা পরীক্ষা করেই গাউট রোগ নির্ণয় করা যায়। এর চিকিৎসা না করালে কিডনিতে পাথর হতে পারে, অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের বিকৃতি হতে পারে, খুঁড়িয়ে হেঁটে মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে, কিছুদিন পর পর ব্যথা হয়ে হাঁটা-চলায় অসুবিধা হতে পারে, ব্যথার ওষুধ খেয়ে কিডনির ক্ষতি ও পাকস্থলিতে আলসার হতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct