এহসানুল হক, বসিরহাট: সুন্দরবন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে আলো না থাকায় একদিকে যেমন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা অপরদিকে বাড়ছে শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। যার ফলে সেতু দিয়ে সন্ধ্যের পর চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে স্থানীয়রা। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে দাবি তুলেছেন তারা।
২০০৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মিনাখাঁর মালঞ্চের বিদ্যাধরী নদীর উপর বিদ্যাধরী সেতু শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। দীর্ঘ এই প্রায় তিনশো মিটার সেতুর উপায় পাশে লাগানো হয়েছিল ঝকঝকে তকতকে লাইট। সেতু উদ্বোধন হওয়ার বছর তিনেকের পর বন্ধ হয়ে যায় সেই লাইট। আস্তে আস্তে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে লাইট গুলি ভেঙে পড়ে যায়। তারপর আজও পর্যন্ত ওই সেতুতে এই লাইট সংস্কারের কাজ হয়নি। শুধু লাইট নয় এই সেতুতে তেমনভাবে সংস্কারের কাজ হয়নি। শুধুমাত্র সেতু টি ঝকঝকে তকতকে রাখার জন্য কয়েকবার নিল সাদা রং হয়েছে আর বেরিয়ে থাকা লোহার রডের উপর বালি সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে এমনটাই দাবি ওই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী অটোচালকদের। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন ওই সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্ট গুলো ভেঙে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি এই সেতুতে লাইট না থাকায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে শুধু দুর্ঘটনা নয় সন্ধ্যে হলেই সেতুর উপর বাড়ছে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। একদিকে যেমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অপরদিকে মহিলাদের শ্রীলতাহানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকবার। সন্ধ্যে নামলে এখন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেই ভয় পায় অটো,চালকেরা ও এলাকার স্কুল ছাত্রীর। সুজয় মণ্ডল নামে এক অটোচালক বলেন,’মাঝেমধ্যে দেখি অচেনা লোকেরা সেতুর পাশে ফুটপাতে বসে মদ্যপান করছে, প্রতিবাদ করলেই তাদের কাছ থেকে অকথ্য গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি শুনতে হচ্ছে, রাতের অন্ধকারে এই সেতু দিয়ে অটো নিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুব ভয় করে’।
মিনাখাঁ ব্লকের বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন,’আমরা এই সেতুর উপর লাইট এর জন্য একটা স্কিম বানিয়ে জেলায় পাঠিয়েছি, জেলা থেকে খুব শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব, তবে আমি প্রশাসনকে বলছি যাতে সেতুর উপরে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ না হয় সেদিকে নজর রাখতে’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct