নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: লকডাউনের নিস্তব্ধতায় মানুষ যখন গৃহবন্দি ছিল, সেই সময় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় পরিযায়ী পাখি শিকারে মত্ত হয়ে উঠেছিল এক শ্রেণীর চোরা শিকারীরা।বাধা দেওয়ার তখন কেউ ছিল না।এখন লকডাউন না থাকলেও গ্রামগঞ্জের পুকুর,জলাশয় ও খালবিল থেকে পাখি শিকারে মেতে উঠেছে এলাকার তরুনেরা।কেউ মাংসের লোভে কেউ বা মজার ছলে একেরপর এক পাখি শিকার করে চলেছে।এর ফলে পরিবেশে কমে যাচ্ছে পাখি।ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।পাখি শিকার করা যে বে-আইনি তা প্রশাসনের প্রচারের অভাবে একে একে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে পাখি।
একটি পাখি মারলে প্রায় এক কেজি থেকে আড়াই কেজি মাংস পাওয়া যাচ্ছে।এমনকি অনেক চোরা শিকারীর রাতে মদের আসরে ভোজনের মেনু হিসেবে থাকছে এইসব পাখির মাংস।অভিযোগ,সুস্বাদু এই মাংস খেতে তাদের বেশ লাগছে বলে প্রকাশ্যেই ‘দাবি’ করছে চোরা শিকারীরা। কিন্তু পাখি শিকার করা যে ঘোরতর অন্যায়, সেটা অবশ্য মানছেন না অভিযুক্তরা।জানা গেছে শীতের শুরুতেই বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি গ্রাম গঞ্জের খালবিল,পুকুর ও জলাশয়ে আসতে দেখা যায়। আর গ্রাম গঞ্জের ছেলেরা বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে সেই সমস্ত পাখি গুলিকে মেরে মাংস ভক্ষণ করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct