জৈদুল সেখ, বড়ঞা: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের দুই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করলো পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিনী। উল্লেখ্য আর্থিক অনটনই হোক বা শিক্ষা সচেতনতার অভাব। বাল্যবিবাহের ঘটনা কিন্তু আড়ালে আবডালে ঘটেই চলেছে। কিছু ক্ষেত্রে পাড়া প্রতিবেশীদের খবরে পুলিস পৌঁছে হয়তো তা বন্ধ করছে তবে সেই পর্যন্ত তারপর সবার অগোচরেই নাবালিকা পৌঁছে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে। তবে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে আসায় সচেতনতার পাশাপাশি ভয়ভীতিও কিছুটা হলেও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে দারিদ্র্য পরিবারে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা থেমে নেই। শুক্রবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের দুই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করল পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এখানে অবশ্য বিয়েবাড়ি পর্যন্ত বিষয়টা গড়ায়নি। তার আগেই খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিস। অভিযোগ বড়ঞা ব্লকের ফতেপুর গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিবাহের জন্য রেজিস্টারের কাছে আবেদন করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। তার বিয়ের বন্দোবস্তও করে পরিবারের লোক। পাশাপাশি একই ব্লকের বোবরপুর গ্রামের এক নাবালিকা কিশোরীর বিয়ের জন্য বাড়িতে পাত্রপক্ষকে ডেকে বিয়ের সমস্ত কথা পাকা করা হয়। শুক্রবার সেই খবর পেয়েই বড়য়া থানার পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হানা দেয় ওই দুই নাবালিকার বাড়িতে। পরে তাদের অভিভাবকের কাছে মুচলেকা লিখিয়ে ওই নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এলাকার মানুষকেও বিষয়টি নজরে রাখার জন্য বলা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct