জিয়াউল হক, চুঁচুড়া: আবারও কালি পুজোর চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি চুঁচুড়ায়। আক্রান্ত পরিবার। আর চাঁদা আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা এলাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চুঁচুড়া থানার সিংহিবাগান নতুনপাড়া এলাকার। ওই এলাকায় কালি পুজো করে সিংহিবাগান নতুনপাড়া (দক্ষিন) পুজো কমিটি। স্থানীয়দের অভিযোগ বিল ছাড়াই প্রতি বছর এলাকার প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে নুন্যতম ৪০১টাকা করে চাঁদা আদায় করে ওই কমিটি। এবছরও অন্যথা হয়নি। টানা দুবছর ধরে করোনার কারনে এবার অনেকেই টাকার পরিমান কমাতে বলে। কিন্তু কেউ পুজো কমিটি মানেনি বলে অভিযোগ।
৫০বা ১০০টাকা চাঁদা তো তারা নেয়ইনি উল্টে শাসিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। এলাকার এক মার্বেল মিস্ত্রী জীবন রায়ের বাড়িতে দিন কয়েক আগে চাঁদা নিতে আসে নতুনপাড়া দক্ষিনের ছেলেরা। এবছর অসুবিধার কারনে ৫১টাকা চাঁদা দিতে রাজি হয় জীবনবাবু। কিন্তু অভিযোগ সেই টাকা চাঁদা না নিয়ে জীবনবাবুকে দেখে নেবে বলে শাসিয়ে যায় তারা। বুধবার ভোর রাত ৩টে নাগাদ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে রায় পরিবারের। লাইট জ্জ্বালিয়ে তাঁরা দেখতে পায় সামনে ঘরের জানালার কাঁচ ভাঙা। জানালার সাথে লাগানো বিছানায় তখন ঘুমোচ্ছিলেন জীবন বাবুর বছর ২১এর মেয়ে। কোনক্রমে রক্ষা পান মেয়ে। বাইরে তখন পরে রয়েছে আস্ত ইট। তৎক্ষনাত বিষয়টি ফোনে চুঁচুড়া থানায় জানানো হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার সহ গোটা এলাকা। এলাকাবাসীরাও ওই কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত দিনকয়েক আগেই চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল সাহাগঞ্জ ডানলপ জিটি রোড গেটের এক ব্যাবসায়ীকে ইচ্ছামত চাঁদা না পেয়ে বেধরক মারধর করে সাহাগঞ্জ মোল্লাপোতা এলাকার এক পুজো কমিটি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পুলিশকে বলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেসময় বিধায়ক বলেছিলেন চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি কোনভাবেই মানা হবে না। এদিন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন এখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে না। এবিষয়ে এখনও আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেবো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct