আপনজন ডেস্ক: বে-লাগাম জীবনযাত্রার কারণেই সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষও নিজেদের জীবনে ডেকে আনতে পারেন নানান বিপদ। বিশেষ করে ভাইরাল ইনফেকশন পুরোপুরি সেরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা না করলে এমনটা ঘটতে পারে৷ ট্রিয়ার শহরের ফ্রাংক ক্নট দৌড়াতে খুব ভালোবাসেন৷ কিন্তু আরেকটু হলেই সেই শখ পুরোপুরি ত্যাগ করতে হতো৷ গত বছর বাসায় তিনি আচমকা প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন৷ সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আচমকা কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস দেখা দিল৷ চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলাম৷ তারপর জ্ঞান হারালাম৷ সৌভাগ্যবশত তখন আমার স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিল৷ হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলো৷ প্রথমবার টের পেলাম কী ঘটেছে৷' তখন ডাক্তারদের প্রাথমিক ধারণা হয়েছিল যে, তিনি মায়োকার্ডাইটিসে ভুগছেন৷ তাকে এক সপ্তাহ হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে থাকতে হয়েছিল৷ পরীক্ষায় দেখা গেল, তার হৃদযন্ত্রের পেশিতে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই সমস্যার ফলে নানা রকমের গোলযোগ দেখা দিতে পারে৷ ট্রিয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. ফ্রাংক শ্মিট বলেন, ‘এর ফলে হৃদযন্ত্রের পাম্প ফাংশন সীমিত হয়ে যেতে পারে৷ ফলে হৃদযন্ত্র দুর্বল হতে পারে৷ কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াসও দেখা দিতে পারে৷ কিছু রোগীর বুকে ব্যথা হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো লক্ষণও টের পাওয়া যায়৷' বাস্তবে যে কোনো মানুষেরই মায়োকার্ডাইটিস হতে পারে৷ ফ্রাংক ক্নট আজও ঠিক জানেন না, কেন তাঁর এমন দশা হলো৷ তবে তার মনে একটি সন্দেহ রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘আমার মতে, আমি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাই৷ ধূমপান করি না, কালেভদ্রে অ্যালকোহল পান করি৷ তবে গত বছর জানুয়ারি মাসে প্রচণ্ড সর্দিকাশি হয়েছিল৷ সেটা ছিল ফ্লুর মতো সংক্রমণ৷ কয়েক সপ্তাহ ভোগার পরেও আমি পুরোপুরি সেরে উঠিনি৷ অপেক্ষা না করেই আবার খেলাধুলা শুরু করে দিয়েছিলাম, দৌড়ানোর ট্রেনিং করছিলাম৷ হয়তো দুইয়ের মধ্যে সংযোগ ছিল৷'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct