কুতুবউদ্দিন মোল্লা, গোসাবা: উপনির্বাচনের ভোট প্রচার শেষ। বুধবার এই প্রচারের শেষ দিনে তাই কোন প্রকার এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় শাসক-বিরোধী কোন পক্ষই। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রার্থীরা প্রচার করেছেন বিভিন্ন এলাকাতে। ভোটারদের মন জয় করতে একের পর এক সভা,পথসভা সবই সম্পন্ন করেছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে জনসভা হয়েছে করোনা বিধি কে মাথায় রেখে।
বুধবার শেষ প্রচারে তাই গোসাবা তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মন্ডল কে দেখা গেলো নদীতে নৌকায় করে প্রচার করতে। বিদ্যাধরী নদী তে তিনি বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলেন। নদীর পাড়ে থাকা মানুষদের কাছে পৌঁছে যান। এরপর কচুখালী বাজারে যান নির্বাচনী সভা করতে।অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা চুনোখালি গ্রামে এসে প্রচার করেন। চুনোখালিতে মূলত প্রাক্তন বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের বাড়ি। সেখানকার মানুষদের কে মন জয় করার চেষ্টা করেন তিনি। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় আদিবাসীদের উন্নয়নের কথা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আদিবাসী উন্নয়নের কি কি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন প্রার্থী। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারাও। চুনাখালি প্রচার শেষে বেলতলী বাজারে যান বিকাল একটি জনসভা করতে।
এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী অনিল চন্দ্র মন্ডল বুধবার তিনিও প্রচার করেন চুনাখালি ও কচুখালীতে। তারপর সেখান থেকে নদী পেরিয়ে যান শম্ভু নগরে। শম্ভু নগরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর ভ্যানে করে প্রচার সারেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরএসপির প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর।
আগামী শনিবার গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনটি রাজনৈতিক দল। তবে প্রচারে একে অপরকে টেক্কা দিতে তৎপর। বামপন্থী প্রার্থী প্রচারে অন্যদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তৃণমূল এবং বিজিপি প্রার্থী একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয়। ভোটের বাক্সে আগামী ৩০ তারিখ মানুষের রায় বলে দেবে শেষ হাসিটা কে হাসবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct