সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে বলেছে পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে পরকীয়ায় পুরুষরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু বলা নেই। পুরুষরা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করলে স্বভাবত তার শাস্তির জন্যে সরব হতে দেখা যায়। ছাড় পেয়ে যান মেয়েটি। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে দেখানো হয় পরকীয়ার জন্য পুরুষটাই দায়ী, মেয়েটি নয়। তাই রেহাই পান মেয়েরাও। মেয়েরাও যে অনেকে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে থাকেন তা মানতে রাজি নয়। মনে হয় থাকে একতরফা পরকীয়া করে থাকে পুরুষরা।
পরকীয়ার জন্য ভারতে মেয়েদের চার থাকলেও ছাড় নেই আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায়। সেখানে পরকীয়ার ঘটনায় প্রথমেই আঙ্গুল তোলা হয় মেয়েদের দিকে। সে দেশের সরকার মতে মেয়েদের সম্মতি না থাকলে পুরুষরা পরকীয়া করতে পারে না। তাদের ধারণা পরকীয়ার জন্য মূলত মেয়েরাই দায়। তাই ভারতের উলটো পথে চলে মৌরিতানিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরকীয়া কেসে মেয়েরাই শাস্তি পায়। সেখানে যত মহিলা জেলে রয়েছেন তাদের বেশিরভাগের অপরাধ পরকীয়া।
বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দায়ে তাদেরকে জেলে যেতে হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, মৌরিতানিয়ার নারী কয়েদিদের ৪০ শতাংশেরও বেশি কয়েদির মূল অপরাধ বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক। জানা গেছে, নোয়াকচোট শহরে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই অন্তত ৫০ জন নারীর কারাদণ্ড হয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয়, বেশির ভাগ নারীই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ায় জড়িত। এমনকি যারা ধর্ষিত তারা তৎক্ষণাৎ অভিযোগ না জানলে পারে সন্তান সম্ভবা হলে তাদেরকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে।
ধর্ষণের শিকার হলে তাকে সবার আগে প্রমাণ করতে হয় যে, যৌন সম্পর্কটি অনিচ্ছাকৃত ছিল। এ ধরনের একজন ২৬ বছর বয়সী খাদি। ধর্ষণের পর তিনি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতে পারেননি। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পর বিষয়টা জানাজানি হয়ে যায়। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তখন বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দায়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার মরুভূমির দেশ মৌরিতানিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের। শরিয়া আইনের পক্ষে সে দেশের সরকার।