মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: দাড়ি থাকলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হওয়া যায় না। শান্তিপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে সে এমনটাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি করোনার থেকেও বিষাক্ত ভাইরাস, এরা সব সময় সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখাতে চাই, মানুষের আবেগ নিয়ে বেইমানি করেছে বিজেপি, তাই বিজেপিকে একটা ভোট নয়। এদিন নদীয়ার শান্তিপুরের উপ নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে জনসভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ শে অক্টোবর শান্তিপুরে উপনির্বাচন। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে হাতেগোনা কয়েকটি দিন সব রাজনৈতিক দলগুলোই তাদের সর্ব বৃহৎ শক্তি নিয়ে প্রচার এর ময়দানে নেমেছেন।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে একটি প্রকাশ্য সমাবেশে যোগদান করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন সিবিআই এর ভয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি চুপ করে বসে আছে। কিন্তু একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখিও তারা আটকাতে পারছে না। মানুষের আবেগের সঙ্গে বেইমানি করব না। সবাইকে বলব এটা শুধু শান্তিপুরের উপনির্বাচন নয় গোটা ভারত বর্ষ তাকিয়ে রয়েছে এই নির্বাচনের দিকে। ভারতবর্ষের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী একটাই আওয়াজ সেটা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা ইতিমধ্যেই শান্তিপুরে অনেক উন্নয়ন করেছি। হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই সঙ্গে শান্তিপুরের স্টেডিয়ামে ৮ কোটি টাকার কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্টেডিয়াম উদ্বোধন হবে। শান্তিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছিলেন অর্থাৎ বর্তমান সাংসদ জগন্নাথ সরকার তিনি কোন দিন তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও শান্তিপুরের নাম উচ্চারণ করেননি। সকলেই উন্নয়নের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন।
এর পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা শান্তিপুর থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করব। যেভাবে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে কন্যাশ্রী, লক্ষী ভান্ডার, সবুজসাথী, স্টুডেন্ট কার্ড সহ পৌঁছে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিন শান্তিপুর শান্তিপুর আনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন। শান্তিপুরের উন্নয়নের জন্য সবসময়ই রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে আগামী দিন শান্তিপুর টু কালনা ব্রিজ উদ্বোধন করবেন ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন প্রত্যেক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পৌঁছাবে১৫ পয়সাও এখনো মানুষের কাছে পৌঁছায়নি রাজ্য সরকার লক্ষী ভান্ডার টাকা প্রত্যেক মহিলাদের কাছে পৌঁছে গেছে। আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়নি মানুষের উন্নয়ন করি উন্নয়ন নিয়ে কথা বলুক। আগে বাংলা নেতারা উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যোগদান করত এখন উত্তরপ্রদেশে নেতারা বাংলাদেশের যোগদান করেছে আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথ দেখাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct