আপনজন ডেস্ক: রসগোল্লা আদতে বাংলার নাকি ওড়িশার, তা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অবসান হয়েছে। এবার পালা সুন্দরবনের মধু নিয়ে৷ ওড়িশা নয়, সামনে মহারাষ্ট্রের এক বেসরকারি সংস্থা৷ সুন্দরবনের মধুর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পেতে আবেদন করেছে পুণের ওই সংস্থা৷ সংস্থার দাবি, সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব নাকি তাদের৷ সে জন্য তারা জিআইয়ের আবেদন জানিয়েছে৷ এ খবর চলে আসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে৷ রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর পদক্ষেপও শুরু করে দিয়েছে৷ রাজ্যের তরফে জিআই কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানিয়েছে, সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব কোনওভাবেই অন্য রাজ্যেকে কোনও সংস্থাকে যেন না দেওয়া হয়৷ প্রাণের ঝুঁকি সুন্দরবনের মউলিরা গভীর জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন৷ সুন্দরবনের বেশ কিছু মধু সংগ্রহকারী নিজেদের কথা তুলে ধরে রাজ্যকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কৃষি মন্ত্রক ও বন দফতরের অনুমতি নিয়ে প্রাণ বাজি রেখে মধু সংগ্রহ করেন৷ তাই কোনওভাবেই যেন জিআই তকমা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোনও সংস্থাকে যেন দেওয়া না হয় তা চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে চেন্নাই জিআই কর্তৃপক্ষকে৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের অবস্থার সঙ্গে জড়িত নানান বিষয় লোকসভায় উত্থাপন করেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন৷
জিআই ট্যাগ মানে তো প্রায় পেটেন্টের শামিল আন্তর্জাতিক বাজারে। রাজ্য সরকার সবসময় চেয়েছে, নিজের রাজ্যের জিনিসকে ধরে রাখতে৷ জিআই সিলমোহর অন্য কোনও সংস্থা বা রাজ্য পাক তা কোনওভাবেই চাইবে না রাজ্য সরকার৷ আর তাই, বহু লড়াইয়ের পর বাংলার দার্জিলিংয়ের চা, গোবিন্দভোগ, তুলাইপঞ্জি চাল, জয়নগরের মোয়া, লক্ষ্মণভোগ, হিমসাগর, ফজলি আম, রসগোল্লা, মিহিদানা, সীতাভোগ জিআই খ্যাতি অর্জন করে রয়েছে৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct