অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: করোনা রুখতে তৎপর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে আটটি ব্লক ও তিনটি পুরো এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় চলছে করোনার টিকা করন প্রক্রিয়া।এই টিকা করন প্রক্রিয়া তে বাত নেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের ওপারের গ্রামগুলিও। হিলি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে কাঁটাতারের ওপারের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে রয়েছে ২৫২ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্তের মধ্যে এখনও প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। কোথাও বাঁশের বাতা আবার কোথাও সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রয়েছে সীমান্ত। বাকি সীমান্ত ঘেরা আছে কাঁটাতারে। হিলি থানার মধ্যে কাঁটাতারের ওপারে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুরসহ প্রায় ১৪ টি ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। এই ১৪ টি গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই ইতিমধ্যে দেয়া হয়ে গেছে করোনার টিকা।
এবিষয়ে হিলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্রাংশু মজুমদার জানান, প্রথমে আমরা, আমাদের মোট যে ভোটার রয়েছে সে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম।তার পরে সেখান থেকে বাছাই করে কতজন কাঁটা তারের ওপারে রয়েছে সে সংখ্যাটা আমরা বের করেছিলাম। এবিষয়ে বিএসএফ আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।
তারাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড প্রভৃতি তথ্য সংগ্রহ করে তা আমাদের সম্মিলিত ভাবে সরবরাহ করেছেন। মূলত হাড়িপুকুর, গোসাইপুর উচাগোবিন্দপুর শ্রীকৃষ্ণপুর এসমস্ত এলাকার যারা বাসিন্দা রয়েছেন তাদেরকে বুঝিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদেরকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যে জায়গাগুলো একটু বেশি স্পর্শকাতর; সেই জায়গাগুলোতে দ্রুত টিকা করন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারার কো-ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
মূলত গোটা ব্লকে এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ ভ্যাকসিন এর প্রথম ডোজ সম্পন্ন করা গিয়েছে। যেহেতু কোভিশিল্ড এর ক্ষেত্রে ৮৪ দিনের একটি লম্বা বিরতি রয়েছে, তাই সে ক্ষেত্রে সে বিরতি সম্পূর্ণ হলে তারা দ্বিতীয় ডোজ ও পেয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct