আপনজন ডেস্ক: এখনো পর্যন্ত এ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয়। প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট। সবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়— শারজায় স্কটল্যান্ডকে নিয়ে ছেলেখেলা করার ম্যাচে এক রাতেই আফগানরা করল এত কিছু!
প্রথমে ব্যাটিং করে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ফিফটি, হজরতউল্লাহ জাজাই আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৪০-পেরোনো ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৯০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। পরে মুজিব উর রেহমান ৫ আর রশিদ খান ৪ উইকেট তুলে নিয়ে স্কটল্যান্ডকে আটকে দিয়েছেন ৬০ রানেই। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব পেরোনো স্কটল্যান্ড আফগানদের বিপক্ষে হেরেছে ১৩০ রানের বিরাট ব্যবধানে।
স্কটল্যান্ড নেমেছিল তিন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৪ ওভারের ৩ ওভারই করেছিলেন তাঁরা, দিয়েছিলেন মাত্র ১২ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারে মাইকেল লিস্কের অফস্পিন থেকে জাজাই ও মোহাম্মদ শেহজাদ তোলেন ১৮ রান। এরপর রক্ষা পাননি পেসার ব্র্যাড হুইলও। তাঁর করা পঞ্চম ওভারে ১৬ রানের পর পাওয়ার প্লেতে আফগানরা তোলে ৫৫ রান। অবশ্য ষষ্ঠ ওভারে ১৫ বলে ২২ রান করে ক্যাচ দেন শাহজাদ, স্কটল্যান্ডের হয়ে ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাফিয়ান শরীফের বলে।
পাওয়ার প্লের পরের ৪ ওভার একটু ‘শান্ত’ ছিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। এ সময়ে বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াটের বলে বোল্ড হয়েছেন ৩০ বলে ৪৪ রান করা জাজাই, রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ২৪ বলে ২৮ রান। জাজাই মেরেছেন ৩ চারের সঙ্গে ৩টি ছয়। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরান নেমেই শুরু করেন আক্রমণ। ধীরে শুরু করা গুরবাজও যোগ দিয়েছেন এরপর। এ দুজনের জুটিতে উঠেছে ৫২ বলে ৮৭ রান। গুরবাজ করেছেন ৩৭ বলে ৪৬, ১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছয়।
ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে ক্যাচ দেওয়ার আগে জাদরান করেছেন ৩৪ বলে ৫৯ রান, ৫টি চারের সঙ্গে তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়। শেষদিকে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী খেলেছেন ৪ বলে ১১ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তাতেই আফগানিস্তান পেয়ে যায় এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সংগ্রহ-১৯০। পুরো ইনিংসেই ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ধরে রেখেছিল আফগানিস্তান, শারজার ছোট বাউন্ডারি কাজে লাগিয়ে তাঁরা চালিয়েছেন ধ্বংসযজ্ঞ।
বিশাল রান তাড়ায় পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই স্কটল্যান্ড পরিণত হলো ৩৬ রানে ৫ উইকেটে, অথচ তখনো বোলিংয়েই আসেননি রশি খান। অথচ শুরুটা ইতিবাচকই ছিল স্কটিশদের। জর্জ মানসি ও অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার প্রথম ৩ ওভারে তুলেছিলেন ২৭ রান। তবে মুজিব-উর-রেহমানের দ্বিতীয় ওভারে বদলে যায় চিত্রটা। প্রথমে কোয়েটজার গুগলি পড়তে না পেরে হন বোল্ড। পরের বলটিও ছিল গুগলি, এবার এলবিডব্লু ক্যালাম ম্যাকলাউড। রিচি বেরিংটন নেমে হ্যাটট্রিক বলটা ঠেকালেন বটে কিন্তু এক বল পরেই ফিরতে হলো তাঁকে। এবারও গুগলি, এবারও এলবিডব্লু।
ম্যাকলাউডের পর বেরিংটনও রিভিউ করেছিলেন, তবে একবারও সফল হননি।
আরও পড়ুন: