আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর উচ্ছ্বসিত তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক রাজ্যে দলের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে। অসম, ত্রিপুরা, গোয়ার এবার মমতার নজর গেরুয়া বলয় উত্তরপ্রদেশে। লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। সেই লক্ষ্যেই মমতা প্রথম গোয়া সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যেমন নিযেছেন, তেমনি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পথে এগোলেন। শিলিগুড়িতে সোমবার মমতার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসি ব্রাহ্মণ নেতা ললিতেশপতি ত্রিপাঠি ও রাজেশপতি ত্রিপাঠী। গত সেপ্টেম্বর মাসে ললিতেশ উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকী প্রাথমিক সদস্য পদও ত্যাগ করেছেন।
ত্রিপুরা, অসম ও গোয়ার মতো উত্তরপ্রদেশে ললিতেশপতি ত্রিপাঠি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ করা হতে পারে বলে গেরুয়া বলয়ে জোর চর্চা। এই ব্রাহ্মণ নেতাকে দিয়েই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে চাইছে তৃণমূল। আরও জানা যাচ্ছে, তৃণমূল উত্তরপ্রদশের প্রধান বিরোধী দল অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। সেক্ষেত্রে ললিতেশ যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখে হবেন উত্তরপ্রদেশে তেমনি তার বাবা রাজেশপতি ত্রিপাঠিও রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। উত্তরপ্রদেশে এখন জোর জল্পনা, দিদি এবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মতো রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেবেন।
উল্লেখ্য, ললিতেশপতি ত্রিপাঠীর পরিবার গত ১০০ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে গান্ধী পরিবারের খুব কাছাকাছি ছিল। ত্রিপাঠী পরিবার কখনও কংগ্রেসকে ছাড়েনি। ললিতেশের প্রপিতামহ কমলাপতি ত্রিপাঠি মির্জাপুরের মাদিহান থেকে নির্বাচনে লড়তেন। সেখান থেকে বিধায়ক হয়ে একসময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এমনকী কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। তারপর ললিতেশের ঠাকুরদা লোকপতি ত্রিপাঠীও মাজওয়ান থেকে রাজনীতি শুরু করেন এবং বিধায়ক হন। ললিতেশের বাবা রাজেশপতি ত্রিপাঠি উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। তবে, ললিতেশ নিজেই ২০১২ সালে মাদিহান থেকে বিধায়ক হন। শুধু তাই নয়, ললিতেশ মির্জাপুর লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু জয়ী হননি।
আরও পড়ুন: