নাজিম আক্তার, চাঁচল: পারিবারিক বিবাদের কারণে দুই মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত দুই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার গভীররাতে মালদহের চাঁচল থানার নুরগঞ্জে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।রবিবার আহতদের তরফে চাঁচল থানায় লিখিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।যদিও ঘটনার সাথে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর কোনো যোগ নেই বলে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে চাঁচলের নুরগঞ্জে একটি পারিবারিক বিবাদে ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়,শিশু সন্তানকে রাখা নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ শুরু হয়। আর সেই সময় মোড়লের ভূমিকায় আবির্ভূত হন শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বলে।অভিযোগ,শিশুর ঠাকুমাকে মারধর করে তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ইউসুফ আলী, বলে অভিযোগ।এমনকি বাশ লাঠিসাটা দিয়ে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় আক্রান্ত হয় পরিবারের দুই মহিলা বেগম বিবি ও মালেকা খাতুন।তড়িঘড়ি করে তাদের চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা।তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানেই চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত মহিলা মালেকা খাতুনের অভিযোগ,আমার পরিবারের এক সন্তান কে নিজের কাছে এনে রেখেছিলাম।কিন্তু শিশুটির বাবা মা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।শুধু তাই নয়।তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ইউসুফ আলীকে ডেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ইউসুফ আলী।তাদের পারিবারিক ঘটনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই সেখানে গেছিলাম।মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছেউল্লেখ্য,রবিবার আক্রান্ত মহিলাদের তরফে চাঁচল থানায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ইউসুফ আলী সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছেন চাঁচল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: