মঞ্জুর মোল্লা, নদীয়া: গোটা দেশের সাথে রাজ্য পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হাত থেকে রেহাই পেতে অভিনব উদ্যোগ এক যুবকের। ভারতবর্ষ যখন পুরানো দিনের প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে নতুন নতুন সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । বিজ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে একদিকে মহাকাশ যাত্রা অন্য দিকে গঙ্গা নদীর ভীতর দিয়ে মেট্রো রেল , আবার কোথাও ট্রেনের উন্নতি ঘটিয়ে বুলেট ট্রেন,তখন নদীয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ সেখ আস্থা রাখছেন পুরানো দিনের এক্কা গাড়ীর ওপরেই । তবে আমরা যে এক্কা গাড়ী দেখে অভ্যস্ত সেই এক্কা গাড়ীর সাথে ফিরোজ বাবুর এক্কা গাড়ীর পার্থক্য রয়েছে। নিজেও অসুস্থ পরিবারের আছে স্ত্রী-দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার। সংসারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে ব্যাক্তি। সংসার চালাতে তিনি বেছে নিয়েছেন রাস্তাঘাটে বোতল ও প্লাস্টিক কুড়ানোর কাজ । সারাদিন এই সব জিনিসপত্র গুছিয়ে বাজারে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। প্রথমে এই কাজ করতে পারলেও এখন আর শরীরে পারেনা।
কিন্তু পেট তো মানেনা,পেট বড় বালাই।তাই তিনি বাধ্য হয়েই একটি ভাঙ্গা ভ্যান রিক্সা কিনেছেন। অসুস্থ থাকার কারণে ভ্যান চালানোর মত ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।তাই তিনি নিজে বুদ্ধি খাটিয়ে নতুন এক্কা গাড়ী বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন। হাঁ এক্কেবারে নতুন পদ্ধতির এক্কা গাড়ী । রিস্কার সাথে একটা বুড়ো ঘোড়াকে বেঁধে তিনি প্রতিদিন ৭০-৮০ কিমি পথ অতিক্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন ফিরোজ।তিনি জানান বর্তমানে পেট্রলের যে দাম, আবার ব্যাটারী চালিত রিক্মার দাম প্রচুর, হওয়ায় কেনার ক্ষমতা নেই । আবার ব্যাটারী চালিত রিকশার প্রতিদিন চার্জ দিতে হয় তাই নিজস্ব বুদ্ধি খাটিয়ে বানিয়ে নিয়েছেন নতুন এক্কা গাড়ী।এখন তার সংসারে অভাব থাকলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না এই এক্কা গাড়ীর জন্য। তাইতো ফিরোজ বাবু ঘোড়ার নাম দিয়েছেন বদল। জেলার বিভিন্ন জায়গায় কাজে বেরিয়ে যান ।সকলেই ফিরোজ বাবুর এক্কা গাড়ীর প্রশংসা করেন।এক ব্যাক্তি জানান কারো দান তিনি নিতে চাননা। নিজে উপার্জন করেই সংসার চালাতে চান। সরকারের কোনো সহায়তা এখনো পর্যন্ত ফিরোজ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায়নি নেই বাড়িতে কোন বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই পাকা ঘর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর থাকলেও এখনও তিনি পাননি।
আরও পড়ুন: