আপনজন ডেস্ক: আতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে সুখ-দুঃখ মিলিয়ে বেশ অনেক স্মৃতিই আছে লিভারপুলের।
একদম আগের স্মৃতিটা ঠিক সুখকর ছিল না অবশ্য। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলটা পরের মৌসুমেই আশা করেছিল শিরোপা ধরে রাখার। কিন্তু সে আশায় পানি ঢেলে দেয় এই আতলেতিকোই। দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়ে দেয় লিভারপুলকে। আর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার পেছনে প্রথম লেগে আতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে ১-০ গোলে হেরে আসাটা বেশ বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগটা আবার এ মাঠেই নিশ্চিত করেছিল লিভারপুল। ফাইনালে টটেনহামকে হারিয়েছিল এ মাঠেই। সেবারের মতো গত রাতেও আতলেতিকোর মাঠ থেকে সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল।
সেই ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতেই গতরাতে আবার ফিরেছিল লিভারপুল, আতলেতিকোর বিপক্ষে এবারের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে। ২০১৯ সালের মতো এবারও ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো থেকে সুখের স্মৃতি নিয়েই ফিরেছে অল রেডরা। আতলেতিকোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে। লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। বাকি গোলটা গিনিয়ান মিডফিল্ডার নাবি কেইতার। ওদিকে আতলেতিকোর হয়ে জোড়া গোল করেও দলকে পয়েন্ট এনে দিতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড আতোয়ান গ্রিজমান।
লিভারপুল জিতবে আর সালাহ গোল করবেন না, তা কি হয়? আর সালাহ গোল করলে কোনো না কোনো রেকর্ড হবে না, এটাও অসম্ভব যেন। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এখন লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই মোহাম্মদ সালাহ। ক্লাবের সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ডকে সরিয়ে শীর্ষে উঠেছেন তিনি। এ নিয়ে এই মৌসুমের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা নয় ম্যাচে গোল পেলেন সালাহ। লিভারপুলের ইতিহাসে এই কীর্তি আর কারও নেই!
যথারীতি ৪-৩-৩ ছকে লিভারপুল নেমেছিল তাদের সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষণভাগ নিয়ে। গোলবারের নিচে আলিসন, রক্ষণে অ্যালেক্সান্ডার-আরনল্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, জল মাতিপ, অ্যান্ডি রবার্টসন—সবাই ছিলেন। ব্রাজিলের হয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে আটকা পড়ে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি আলিসন ও ফাবিনিও। কিন্তু আলিসন মূল একাদশে থাকলেও ফাবিনিও ছিলেন না। বরং রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন খেলেছেন দুপাশে নাবি কেইতা আর জেমস মিলনারকে নিয়ে। আক্রমণভাগে যথারীতি সালাহ-মানে-ফিরমিনো ত্রয়ী।
ওদিকে ৪-৪-২ ছকে নামা আতলেতিকোর রক্ষণটা অতটা শক্তিশালী ছিল না। সার্বিয়ান ডিফেন্ডার স্তেফান সাভিচ না থাকার কারণে ফরাসি মিডফিল্ডার জর্ফি কনদগবিয়াকে সেন্টারব্যাকের ভূমিকা নিতে হয় ব্রাজিলিয়ান ফেলিপের সঙ্গে। দুই ফুলব্যাক হিসেবে খেলেছেন ইংলিশ কিয়েরান ট্রিপিয়ের ও মারিও এর্মোসো। মাঝমাঠে কোকে, রদ্রিগো দিল পর, টমাস লেমার ও ইয়ানিক কারাসকোকে রেখে স্ট্রাইকে জুটি বেঁধেছিলেন গ্রিজমান ও জোয়াও ফেলিক্স। লিভারপুলের সাবেক স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ আতলেতিকোর মূল একাদশে ছিলেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct