জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: মহকুমা হিসেবে ঝালদা ও মানবাজার আত্মপ্রকাশ করেছে বছর কয়েক আগে কিন্তু মহকুমা এখনো পূর্ণাঙ্গ রূপে গড়ে ওঠেনি। নেই আদালত, নেই জেল। ফলে এখনো অবধি ঝালদা মহকুমার মানুষজন কে বিভিন্ন কেস ও মামলার কাজে যেতে হচ্ছে পুরুলিয়া। প্রসঙ্গত ,জেলার চারটি মহকুমার মধ্যে রঘুনাথপুর ও পুরুলিয়াতে আদালত রয়েছে। ঝালদা ও মানবাজারে এখনো আদালত গড়ে ওঠেনি বা জেল তৈরী হয়নি। বাম আমলে অর্থাৎ ২০০৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঝালদার মাটিতে দাঁড়িয়ে ঝালদা ও রঘুনাথপুর কে মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে বাস্তবে বামেরা সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে নি। তারপর রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ঝালদা ও মানবাজার এই দুটি মহকুমা চালু হলেও এখনো মহকুমার পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এই এলাকার বিচার প্রার্থীরা সেই জন্যই হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবী অনেকের। আবার অনেকের মৌখিক অভিযোগ, সামান্য প্রয়োজনেও ছুটতে হয় পুরুলিয়া তার ফলে মহকুমা তৈরীর মূল লক্ষ্যটাই যেন থমকে গিয়েছে। ঝালদা মহকুমার বিজেপি নেতা কর্মীদের অভিযোগ ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে এরাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তড়িঘড়ি মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ঝালদা ও মানবাজারকে। কিন্তু বাস্তবে এখনো পর্যন্ত কারাগার ও আদালতের জন্য জমি পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়নি। যদিও তৃণমূলের দাবী জমি চিহ্নিত করন খুব শীগ্রই হয়ে যাবে এবং পূর্ণাঙ্গ মহকুমা রূপেই গড়ে উঠবে ঝালদা ও মানবাজার।
এই বিষয়ে ঝালদা ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগেস কমিটির সভাপতি আলোক চ্যাটার্জী জানান,প্রায় টানা দুটি বছর কোভিডে গেছে ,যার ফল স্বরূপ দীর্ঘদিন ধরে সেরকম ভাবে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ কর্ম হয় নি। তবে আমাদের কাছে খবর আছে খুব শীগ্রই মহকুমা স্তরের বিভিন্ন দপ্তর আদালত ও জেল এছাড়াও এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিকরণ করা হবে। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবী, মহকুমা শাসকের দপ্তর গড়ে ওঠার পরেই দ্রুত এখানে আদালত গড়ার জন্য বিচার বিভাগের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ইতি মধ্যে সেই অনুমতি এসেও গিয়েছে। এবার ঝালদা ও মানবাজার এই দুটো মহকুমাতেই আদালত ও কারাগার গড়ে তোলা হবে। তবে সাধারণ মানুষ বিষয়টিতে এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট হতাশ। কেন একই সময়ে পূর্ণাঙ্গ মহকুমা গড়ে তোলা হল না প্রশ্ন তুলছেন তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct