আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম কংগ্রেসের সঙ্গে বেঁধে লড়লেও কিছুদিন অাগে জানিয়ে দিয়েছে, ভোট শেষ তো জোট শেষ। শুধু তাই নয়, সিপিএম েয সংগঠন বাড়ানোর দিকেই মন দিতে চায় সে কথা জানিয়ে দেন রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতারা। সেই মতো তারা সদ্য উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন না করে পৃথক পৃথক প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএম একলা চলো পথ নিলেও অসমের উপনির্বাচনে কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার অসম সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা অসমের চারটি উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করবে। আর একটি আসনে সিপিআই প্রার্থীকে সমর্থন করবে।
আগামী ৩০ অক্টোবর অসমের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই পাঁচ কেন্দ্রের মধ্যে মারিয়ানি, ভবানীপুর, তামুলপুর এবং গোসাইগাঁও আসনে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থন করবে সিপিআইএম। আর থৌরা কেন্দ্রে সিপিআইকে সমর্থন করবে তারা।
সিপিএস এব বিবৃতিতে বলেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার অসমের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হলে সরকার তাদের সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম প্রচেষ্টা করেনি। তাই সিপিআইএম জনগণকে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং তার সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) এর পক্ষে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত অসম বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বে একটি ‘মহাজোটের’ অংশ ছিল সিপিআইএম। বর্তমান বিধায়কদের মৃত্যুর কারণে গোসাইগাঁও ও তামুলপুরের উপনির্বাচন প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ভবানীপুর, মারিয়ানি ও থৌরার বিধায়করা তাদের আসন থেকে পদত্যাগ করে ক্ষমতাসীন বিজেপি-তে যোগ দেন। গত বিধানসভা ভোটে থৌরা এবং মারিয়ানি আসন কংগ্রেস দখল করে, অন্যদিকে ইউপিএল গোসাইগাঁও আসনে জয়ী হয়। বিপিএফ এবং এআইইউডিএফ যথাক্রমে তামুলপুর এবং ভবানীপুরে বিজয়ী হয়েছিল।
২০০১ সাল থেকে অসমে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এআইইউডিএফ, বিপিএফ, সিপিআইএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল), আঞ্চালিক গণ মোর্চা (এজিএম), আরজেডি, আদিবাসী জাতীয় পার্টি (এএনপি) এবং জিমোচাইন (দেওরি) পিপলস পার্টির (জেপিপি) সাথে মহাজোট গঠন করেছিল।
তবে এবারের উপনির্বাচনের ভোট গণনা করা হবে ২ নভেম্বর। ১২৬ সদস্যের আসাম বিধানসভার মধ্যে বর্তমানে বিজেপির শক্তি ৫৯।
ক্ষমতাসীন সহযোগী অগপ এবং ইউপিপিএল যথাক্রমে নয় এবং পাঁচ জন বিধায়ক রয়েছে। যেখানে কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক রয়েছে। আর এআইইউডিএফের ১৫ জন বিধায়ক রয়েছে। এছাড়া বিপিএফের তিনজন এবং সিপিআইএমের একজন বিধায়ক আছে ও একজন নির্দল বিধায়ক আছেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা অবধি। কিন্তু কোনো এক্সিট পোল পরিচালনা করা যাবে না। এমনকী যেকোনও বৈদ্যুতিন প্রচার মাধ্যমে যেকোন জনমত জরিপ বা অন্য কোন জরিপের ফলাফল সহ যে কোন নির্বাচনী বিষয় প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই অসমের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নীতিন খাড়ে সকলকে এক্সিট পোল এবং জনমত জরিপ সম্পর্কিত ইসি নির্দেশাবলি নিষ্ঠার সাথে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct